শেখ মুজিবুর রহমান
মোজাম্মেল সুমন


বাংলাদেশ ঠিক স্বাধীনতার দীপ্ত মশাল
তারিখ মার্চের সতেরো উনিশশো বিশ সাল
জন্মেছিলো একটি শিশু—
যে এই সোনার বাংলার যিশু—
যাঁর নাম মুজিব স্বাধীনতার এক মায়াজাল,
যাঁর ছোঁয়াতে এই বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল ।


গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়াতেই জন্ম যাঁর
এক মেধাবী ও অদম্য কিশোর বাংলার
সুশিক্ষাতে তাঁর রাজনীতি—
মানবপ্রেম তাঁর কাজ নীতি—
সব মানুষের জন্যই দুঃখ সে ঘোচাবার,
তাই কল্যাণের দুঃসাহসী এক কর্ণধার ।


নির্যাতন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার
নিজের মাথা তুলে দাঁড়াবার স্বাধিকার
মুখে স্বাধীনতার পদ্য—
যা উৎসাহ পেতো সদ্য—
যার যা আছে ঠিক তাই নিয়ে লড়াই বাঁচার,
বাঙালি নাম বিশ্ব কাঁপার খুব অহংকার ।


মানবতার সে পুষ্পিত কোমল কুসুম
দেশের জন্যে খেটেছিলো অনেক জুলুম
সয়েছিলো কারাবরণ—
ছাড়েনি তাও স্বদেশের পণ—
পাকবাহিনী করতে পেরেছিলো মালুম,
মুজিবের মুখ ছিলো স্বদেশচেতি হালুম ।


টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া সেলাম দিতো
বাংলার সন্তান স্বাধীনতায় ঠিক দীক্ষিত
মুক্তিযুদ্ধের সব চেতনা—
মিছিলে তাই উদ্দীপনা—
'জয় বাংলা' 'জয় বাংলা' ধ্বনি যে শুনিতো,
পাকবাহিনী মানতে বাধ্য পরাজিত ।


উনসত্তর ছেষট্টি বায়ান্ন কম্পন
তর্জনীটা উঁচিয়ে সাত মার্চের ভাষণ
স্বাধীনতার সেই কাহিনি—
মুক্তিসেনার সেই বাহিনী—
নয় মাস স্বাধীনতার জন্যে যে রণাঙ্গণ,
ডিসেম্বরের ষোলো তারিখ মুক্তি অর্জন ।


স্বদেশ ফেরা বাহাত্তর, দশ জানুয়ারি
সেই ধানমন্ডির বত্রিশ নম্বর নিজের বাড়ি
দেশপ্রেমের পাই প্রকাশ—
গৌরবিত এক ইতিহাস—
সোনার বাংলার সোনার সন্তান ভুলতে নারি,
উড়ছে স্বাধীনতার বাতাস বুঝতে পারি ।


বাংলার মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমান
পঁচাত্তরে উৎসর্গিত নিজের প্রাণ
পনেরোই আগস্ট টালমাটাল—
এক ভয়ার্ত শোক উর্ণাজাল—
বাংলার মাটি রক্তে করেছিলো স্নান,
শোধ হবে না স্বাধীনতায় তাঁর অবদান ।


বাঙালিদের মধ্যেই তিনি শুদ্ধ কলি
তাঁকে জানাই তাই সম্মানের সব অঞ্জলি
জাতির পিতা তো শেখ মুজিব—
তা উচ্চারণ হয়নি যার জিভ—
অবাঙালি সে যার কর্মে দলাদলি,
মুজিব নামই স্বদেশ গড়ার পদাবলি ।


লাল সবুজের পতাকায় নন্দন সমাবেশ
পৃথিবীর মানচিত্রে পাই নাম সবিশেষ
মুক্তিযুদ্ধের মহানায়ক—
স্বাধীনতার মহাঘোষক—
অমর নেতা ঠিক দীপ্তিমান যার অনিমেষ,
শেখ মুজিবুর রহমান মানেই তো বাংলাদেশ ।