নারীসম্ভোগ
মোজাম্মেল সুমন


পুরুষ অনেকটা নগদে কিংবা বর্তমানে বিশ্বাসী,
ভবিষ্যত শব্দটাই যেনো তাঁদের কাছে বিনাশী।
ওরা কিন্তু তালগাছ লাগাতে আগ্রহী নয় বরং
পাকাতালের স্বাদ নিতেই উদগ্রীব, সাথে এবং!


সত্যি বলতে পুরুষ খুব অদ্ভুত চতুর স্বভাবের,
অনেকটা দেহলোভী, ফাঁদ পাতে নারীসম্ভোগের।
ওদের শকুনদৃষ্টি দুটো মাংসপিণ্ডের ওড়নাতলে,
দুমড়েমুচড়ে ছুঁতে চায় ন্যূনতম আত্মবোধ ভুলে।


বুকে হাত দিয়েই যুগলপাহাড়জয়ের হুলুস্থুল,
কিংবা ফোঁটাতে চায় ঠোঁটের পাপড়িতে হুল।
ওরা নিতম্বে হেলদোল চায় কামনার সমীরণে,
কেবল ঊরুসন্ধি ছুঁয়ে প্রেমসমুদ্রবিজয় মানে।


কেবলই নগ্নাবয়বে ভিজতে চায় ঝর্ণার জলে,
ওরা নারীকে উপভোগ করে ছলেবলেকৌশলে।
উন্মাদনাই ওদের কাছে প্রেম কিংবা বিয়েকরা,
অথচ নারীজয় অসম্ভব নিগূঢ়তম সাধনা ছাড়া।


একই বিছানাতে শুয়ে সঙ্গমই কেবল প্রেম নয়,
উচ্চতাভীতিতে হয়নি কখনোই হিমালয় জয়।
মাংস খেতে কুরবানি নয় বরং কুরবানিই মাংস,
তদ্রুপ নারীর মন জয়ই নারীপ্রেমের মূল অংশ।


নারীর অমলা মনটিকে বিশ্বাসে ছুঁ'লে সার্থকতা,
তবে নারীদখলপ্রাপ্তি, তখনই নারীর পরিপূর্ণতা।
নারীকে সম্ভোগিনী না ভেবে সম্মোহনী মানো,
ওহে পুরুষমশাই নারীকে ভালোবেসেই জানো।