< এই কবিতাটা একটু বড়,তাই ২ ভাগে লিখব…আজ প্রথম ভাগ লিখলাম,কাল ২ নম্বর…>


মনোনদী পাড়ে বসে করি দেখাশুনা,
একই নদী,জলে তার দু'ধারা-মোহনা।
পশ্চাতে বহিছে ধূসর ঘোলাটে ধারা,
অগ্রে তাহার অস্বচ্ছ,পাকে পাকে দিশেহারা!
অবাক হইনু আমি হেরি এ ঘটনা,
স্বচক্ষে ভ্রম কি করে মিথ্যা রটনা?
ভাবিতেছি আমি যবে এ কথা অন্তঃপুরে,
হঠাৎ কে ডাকে মোরে পশ্চাতে বহুদূরে!
ফিরে তাকাতেই দেখি ঝাপসা সে জন,
ভুলে যা,ভুলে যা তারে-বলে এই মন!
স্বম্বিত ফিরে পাই,সামনের পানে চাই,
ভাবি বর্তমান গেল কই?
তার কি কোনো ধারা নাই?
পশ্চাতে টানিছে অতীত,অগ্রে ভবিষ্যত,
বর্তমানের তবে কি বিচ্ছিন্ন পথ,অচল রথ!
তবে সে কি বাস করে মোহনার মাঝামাঝি,
যেথা হতে অতীত আর ভবিষ্যত কাছাকাছি!
তাই বুঝি কেউ জ্বলে-অতীতের জ্বালাতনে,
কেউ তাই বুঝি হায় ভবিষ্যতের বীজ বুনে!
ভাবতে ভাবতে হঠাৎ শুনি সে আওয়াজ,
তারাতারি সেরে ফেল আছে যত কাজ!
ডাকছে ভবিষ্যত হাতছানি দিয়ে,
-এসো তুমি অতীতের সব ভুলে গিয়ে!
জ্বলে পুড়ে মরে যাবে অতীত দংশনে,
তার চেয়ে এগিয়ে চল পরবর্তী রণে!
আমি আছি মহাপাকে,মহা চিন্তায়-
কাকে প্রাধান্য দেব সেই দ্বিধায়!
..…..….…চলবে।
=====<মন>=====