কন্ঠে আমার নেই কো মায়া,
কর্কশ-অনাসৃষ্টি,
কুৎসিত এ দেহের কায়া
বহুদোষে ভরা দৃষ্টি!
রাক্ষসেদের স্বভাব সনে
আমার অনেক মিল,
তাইতো বেছে নাম দিয়েছি
পৌষের কোকিল!


গায়ের বর্ণ কালো আমার
মুখ-চোখ ভয়ানক,
তীব্র কথা-বাক্য মুখে
অর্ধেক অরাজক!
জীবন সাগর মাঝেই খুঁজি
মধ্য-অন্তমিল,
ধরণীর মাঝে চাইনা কিছু-আমি
পৌষের কোকিল!


ধীরে ধীরে বায়ু রুক্ষ হলে
ঘর মুখো হয় সবে,
তখনি হঠাৎ আমার দেখা
তিক্ত কলরবে!
গাছে গাছে সব পুরাতন পাতা
ঝরিলে ধরণী তল,
আমায় দেখে সকলে তখন ডাকে
পৌষের কোকিল!


গানে আর সুরে মুখরিত আমি
করিতে পারি না ধরা,
পদ্ম-ছন্দ মিলাতে বসিলে
চক্ষু ছানাবড়া!
কেমন দেখলে ছন্দে আমার
ভীষণ গড়মিল,
তাইতো আমার নাম দিয়েছি
পৌষের কোকিল!


শীতকালের কোকিল আমি
বসন্তে ভয় পাই,
ভবঘুরে হেথা আমি-ই একা
বন্ধু কেহ যে নাই!
সাথী হারা ব্যাথা আমি বেশ বুঝি,
তাইতো শূণ্য দিল-
খুঁজি আমি,লেখাতে সেথায়
পৌষের কোকিল!