তোমার কাছে চাইনি গো মান
চেয়েছিনু ভালোবাসা।


আঁধার রাতে প্রদীপ যেন
নিরাশাতে আশা।
তুমি আমায় ডাকলে প্রথম
বললে-সর্বনাশা।
তোমার কাছে চাইনি গো সব
চেয়েছিনু ভালোবাসা!


একলা সেদিন সন্ধ্যা বেলায়,
রবির কিরণ দিগন্তে এলায়
রক্ত লালাভ হয়ে,
জলের পানে তাকিয়ে ছিনু
স্মৃতির পটে হাড়িয়ে গেনু
ঢেউয়ের শিরা বেয়ে!


এই ঘাটেতে এমনি দিনে
এমনি সন্ধ্যা বেলা-
রঙিন স্বপ্ন বুনেছি আবেশে,
হাতে হাত রেখে করেছিনু মোরা
অরুণ-বরুণ খেলা!
শত স্মৃতি আজ গলা চেপে ধরে
বুকে চিনচিনে জ্বালা!


ওগো,মনে আছে-
তোমার গলে পড়িয়ে ছিলাম হার?
তুমি কেঁদেছিলে,
বলেছিলে-
আমায় ছাড়া তোমার চাইনা কিছু আর!


বুকে টেনে জড়িয়ে আমায়
উষ্ঠে-অধরে চুমেছিলে,
সেই সে তুমি কেমনে ওগো-
আমায় ছেড়ে চলে গেলে?


এত পাষান কেমনে হলে-
এতো অভিমানি?
এখন আমায় কে ঘুম পাড়ায়-
মুছে চোখের পানি?


সেই যে কবে শুনেছিলাম-
তোমার কন্ঠখানি,
বলেছিলে-স্বামী আমার
দাওগো একটু পানি!
এত তৃষ্ণা কোথ্থেকে আজ
জাগলো বুকে?সে সাঝ-
বেলায় নিজের হাতে তোমার মুখে
ঢেলে দিলাম জল।
একটি কথাও বললে না আর আমার সনে,
কি জানি কি বক-বকিয়ে আপন মনে-
চেয়ে রইলে অপলকে আমার পানে!


টেনে নিলাম বক্ষে তোমায়
চুমু দিলেম গালে ও গলায়,
বক্ষ তখন দুমড়ে-মুচড়ে,
গলায় তখন টেনে হিঁচড়ে-
রাও আসে না!
,,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
এরপর থেকে আজ ছ'টা দিন
আছি বেঁচে আমি তুমি হীন-
শূণ্য আকাশতলে!


তোমায় যেন হঠাৎ হঠাৎ
দেখি দিঘির জলে!
চক্ষু আমার শুকিয়ে গেছে
আর কাঁদিনা আমি,
ভাবি শুধু একা একা
এত পাষাণ তুমি!
চির অভাগিনী,
সারা বিছানায় হতো না যার স্থান,
বক্ষে আমার মাথা রেখে যে খুঁজে পেতো তার প্রাণ!
আজি তার স্থান সাড়ে তিন হাত ভূমে-
এখন তাহারে কে রাখিবে আগলে বুকে তুলে?
ওগো বিধি,ওহে দয়াময়
তাহারে তুমি রেখ গো শান্তিময়!
,,,,,,,,,,,,,,
,,,,,,,
আজ সন্ধ্যা বেলা-
হঠাৎ তৃষ্ণায় ফাটে বুক,
প্রাণপনে ডাকি,ওগো বধূ,
দাও গো অমৃত,দেই আজ শেষ চুমুক।
,,,,,,,
ঝাপসা চোখে আবছা ছায়া-
বধূ,বুঝি তুমি এলে!।
নাও কোলে নাও-ঠোঁটে দাও ঠোঁট-
হাত বুলাও গো চুলে!
তোমার সাথে বহুদিন পর
যাচ্ছি একই পথে---
তুমি বুঝি আর সুখি হবে এই-
বাতিকেরে ভালোবেসে?
=====<<মন>>=====
(রাও=শব্দ,আওয়াজ,কথা)।