অষ্টক স্তম্ভের ক্লিনিক,
নব্য পিচ রাস্তার ধার ঘেঁষে
তোমার বাড়ির পরস্পর পিছন পৃষ্ঠদিক।
বাঁক সিঁড়িতে তেইশ বসন্তহীন—
গাঢ় সবুজ পাঞ্জাবি বসনে যুবক।
পারস্পরিক মুঠোফোনে অনন্ত কথোপকথনের সুরবীণ।


মাঘের সমাপ্তি জ্ঞাপনে কিছু বাকি,
অম্বরবক্ষ গোধূলি লগনা।
কথার পুষ্প ঝর্ণা ঝরছে চিবুক বেয়ে,
যেন সদ্য বকুল আম্রসার— মিষ্টি হাসি সুরঞ্জনা।


           ★★★


তুমি ত্রিকোণি বেঁকে
দাঁড়িয়ে অল্পপথ দূরে
কমলা বসন জুড়ে গায়।
ক্লিনিক প্রান্তে তীক্ষ্ম দৃষ্টি ধরে
যুবকের কল্প জগত রপ্ত করে,
রয়েছো অধীর অপেক্ষায়।


হঠাৎ আড়াল ঠেলে দৃশ্যত—
তোমার সম্মুখ ত্রিকোণি পথে
যুবকের কায় আবির্ভূত।
যেন চমকে গেলে!
যেন জোনাকির দল চারদিক—
আলো জ্বেলে ওড়ে!


            ★★★


হাত বাড়িয়ে ছুঁতে চায়
মন বাড়িয়ে মন,
তুমি তখন ভয়ে ভয়ে
এক পা দু’পা পিছু পায়!
হার না মানা যুবক ছোটে
উল্কি গতি পেয়ে—
“হাত দু’টো দাও বাড়িয়ে এবার,
জড়াও তোমার বক্ষ তটে।”


তোমার ঘরের চান্দুরি
আকাশ কেঁপে নামলো জ্যোৎস্না,
যুবকের ঠোঁটে চাষবাস হল
তোমার ঠোঁটের তৃষ্ণা!


নির্ভরতার পাহাড় রেখে
চিবুক তলে দু’হাত ছুঁয়ে
ঠোঁট তুলিতে ললাট জুড়ে— গেলো
সন্ধ্যা তারার টিপ এঁকে!