তুমি আসবে বলে ছিলে
কোন এক বৈশাখে
কোন এক বর্ষন মূখর সন্ধায়
ভাসিয়ে ডিঙা থৈ থৈ জলে।।
কিংবা কোন এক রোদেলা  দুপুরে
পরন্ত বিকালে, শ্মন শ্মনে বাতাস
লাগিয়ে রঙিলা পালে।।


সেই থেকে আজ ও,
অপেক্ষার পথ চেয়ে
দুরন্ত প্রহরি হয়ে, অবসর ক্ষনে
এসে দাড়াই পার ঘাটা।।
কোথায় তুমি...?
ওপারেতে তাকাই
শুধু জলের সমহর,তুফানে তুফানে
এলো কত জোয়ার গেল কত ভাটা।।


সকাল থেকে সন্ধা
শুধু হাওয়ার কাছে প্রশ্ন করে যাই।
কোথা সে......?
কোথাও কি তার কোন চিহৃ নাই।


কত জনমূখর এপার
হৈ চৈ মানবের
আসা যাওয়া পারাপার
সহসা সর্ব দিচ্ছে নদ পারি।।
তথাপি ও তার দেখা নাই
শুধু আজ নয় কাল নয়,
যুগ প্রহর কেটেছে তালাসে
কূলেতে ভিরলেই তরী।।


চোখ দুটি হয়েছে শিলা
অথরে চৈত্রের ফাটল
শুকিয়ে গেছে কদমের মালা
তবু ও হইনি নিরাস তুমি আসবে ফিরে।।
ঢেউ এর তরঙ্গে কূল
ভেঙ্গে নিয়ে যায় তার গভিরে
ছিনেছে কাঁশ ফুলের হাঁসি
শুধু আমি রয়েছি একলা, শূন্য এই তীরে।।


ওপারে তুমি এপারে আমি
দুরুত্তর  শুধু পরোবাসি।
ক্ষনিকে ক্ষনিকে আখি কোনে
উসকে উঠে জলো রাশ্বি।


গোধূলী লগনে সন্ধা নামে
আধারে লুকায় বলাকার ঝাক
সাঁজের মায়া হাতছানিতে
অন্ধকারে হৃদয় গেরা।।
অবেলায়ে হতাশ জীবন
নির্বোধে দুঃখ পুষে,
শূন্য হাতে কালের আশায়
একলা একা ঘরে ফেরা।।



                     উৎসর্গঃ আমার হৃদয়ের টুকরো অনুজ শামীম কে.....।


লেখার তারিখঃ ২৭/৮/২০১৬।