কখনও যানতাম না-
পদ্ম কেন জলে ভাসে।
শিশির কণা জমে কেন-
সকাল সাঁজে সবুজ ঘাসে।
কেন নদীটার দু,কূল ভাঙ্গে,
আপন হাড়া স্রোতের টানে।
ভ্রমর কেন আকূল হয়-
সুভাসী ওই ফুলের ঘ্রানে।


যানতাম না কেন কাঁদে-
যুগন্তরী বিরহী শ্রাবন।
ভেসে যাওয়া ওই মেঘলা রাতে,
কেন লুকায় চাঁদনী গগন।
কেন যে কাল বৈশাখী ঝড়,
ছিন্ন করে সাঁজানো ঘর।
হৃদয় মাঝে কিসের ছোয়ায় -
আপন কে করে পর।।


যানতাম ফুল ফোটে সুন্দর,
ছড়িয়ে দেয় সুরভী।
দিনের শেষে রাত্রি আসে-
ডুবে গিয়ে আলোর রবি।
যানতাম না ফুলের জন্য-
নিতে হয় কাটার আঘাত।
দিনের বদলে নিতে হবে,
তিমির কাল রাত।।


একটি করুন হাঁসির জন্য,
কাঁদতে হয় বহু যুগ।
একটু খানি সুখের লাগী-
বাঁধতে হয় শত ব্যাথায় বুক।
যানতাম না কেন রং-ধনু,
গগন জুরে হাঁসে।
নিমিশে সব রং মুছে দিয়ে,
ঝর্ণা হয়ে নেমে আসে।।


যখন দেখলাম ঐ রাতের চাঁদটা,
লুকিয়ে যায় কাল মেঘের আড়ে।
অপরুপ শোভাময় বাগান বিলাশী,
কেন চায় না কেউ তারে।।


স্বজন হাড়া বেদন এমন,
কে বলিবে কারে।
এরা সবে নিঃশ্ব একা-
বিচ্ছেদ বিরহ অন্তরে।
কেন  গন্ধ নেই কাঁটা বীহিন,
শুভ্র রঙিন কাঁশে।
তাই বুজেছি লাল পদ্ম -
জলে কেন ভাসে।।


উৎসর্গঃ আমার শ্রোদেয় বড় বোন "খালেদা খানম,, কে।


লেখার তারিখঃ ২২ শে জুলাই ২০১৪, ফতুল্লা।