ষোড়শী!
তোর সুন্দরতম হাসির জন্য নিরন্তর ভেঙ্গে চলেছি
অবিরাম ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে শূন্যের তীরে এসেও
তরী বারবার
         স্মৃতির ক্ষীণতায় খর্ব হয় শিল্পেচ্ছার হাত - আকাশ আকাশেই ঘুমায়  
ছিনিয়ে আনতে পারিনা তার মসলিন, বেনারসি অথবা জামদানি
তবু ভেঙ্গে চলেছি নীল নন্দন পথ সড়ক মহাসড়ক বন্ধুর মসৃণ দীর্ঘ সুদীর্ঘ সব
ভেঙ্গে চলেছি ...
ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে মহাশূন্যের থেকে হাত পেতে আনি ধ্রুপদী শাড়ী
ছড়াই তায় সমস্ত সময় ধ্যানময় ভেঙ্গে ভেঙ্গে কুড়ানো ইচ্ছের রঙ  -
         যেন মিশে যায় তোর ইচ্ছের শরীরে - জলের মতো
         যেন তুই হেসে উঠিস তানপুরার তারে - গীতাঞ্জলি সুরে


ষোড়শী!
         আমি আলোর সংজ্ঞা জানি না - খুঁজি - ভেঙ্গে ভেঙ্গে খুঁজি
         আমি আঁধারের মানে বুঝি না - বুঝি - ভেঙ্গে ভেঙ্গে বুঝি
         আমি এ পথের শেষ চিনি না - চিনি - ভেঙ্গে ভেঙ্গে চিনি
         আমি সময় ধরতে পারি না - ধরি - ভেঙ্গে ভেঙ্গে ধরি -
         কোন আলোতে হাসে কৃষ্ণের রাধা
         কোন আঁধারে ফোটে মোনালিসা
         কোন পথে তোর ঠোঁটে ভালবাসা
         কোন সময়ে বলবি জীবনগাঁথা - জানি না আমি


সত্যের মতো ভীষণ সুন্দর শূন্যে আছি
                   ভাঙছি -
       ভাঙছি                নিত্য
       শূন্য -                 শূন্য                  
       কাঠামো-          অবকাঠামো
                      যদি শূন্যের জরায়ু ছিঁড়ে জন্ম নেয় তোর ইচ্ছের ফুল -
                      আমি নিশ্চিত হাসবি তুই সেই শূদ্ধতম ফুল


ষোড়শী! আমি তোর জন্য শূন্যে আছি
আমি তোর জন্য শূন্য হয়ে আছি
আমি তোর জন্য শূন্য ভেঙ্গে চলেছি
শুধু ইচ্ছের ফুল হেসে উঠলেই তোর
সূর্যকে দিয়ে দেব এ ঘর-দোর।