রাত্রি, ঐ পূব আকাশে আলোক বিন্দু রেখে,
কোথায়, কোন অজানায় প্রতিবার যাও হারিয়ে?
রোদ্রের তীব্র তাপদাহে ঘামার্ত ক্লান্ত শরীরে,
মনে পড়ে,প্রশান্তি দেয়া তোমার শান্ত, শীতল সময়।


সব ক্লান্তি ঝেড়ে শীতল পরশ দাও যখন,
মোহময় আবেশ জড়ায় নির্ঘুম কথোপকথন।
যেন অনন্ত যুগ ধরে চলা প্রণয় সংলাপ,
অনিঃশেষ! এ জীবনে আর ফুরোবেনা বোধহয়।


জানো রাত্রি,তুমি এলেই অব্যক্ত কথাগুলো,
ঠিকরিয়ে উঠে আসে, কখনো বা,
কবিতা হয়ে গাথে প্রণয় পঙক্তি।
যা দেখে, আকাশের তারারাও মিটিমিটি হাসে।


আচ্ছা রাত্রি,তোমার আকাশের ঐ শুকতারাটা,
ওভাবে হঠাৎ খসে পড়ে কেন?
নাকি, আমাদের কথা শুনে ফেলে,
লজ্জায় মাথা নিচু করে ঝরে!


তোমার এমন রূপ তাকালে পলকই পড়ে না,
মনে হয় এমন জোৎস্নাই থাকুক জীবনভরে,
আমি তাতে হাটব, মেঠো পথে,কঁচি সবুজ ঘাসে,
দিগন্তজোড়া মাঠে,খালি পায়ে...
কখনো বা,কাঠালিচাপা আর বেলির গন্ধে মাতব।
তাই তোমার সঙ্গে যাব,নেবে তো?


যদি বলো, তুমি আধেকই গাঢ় অন্ধকার,
তবে জেনো, মন খারাপের একেকটা রাত,
এই গাঢ় আঁধারেই মুখ লুকায়।
অঝোরে নেমে আসা জলকে সান্ত্বনা দিয়ে,
প্রশান্তি আনে। তাই আঁধারেই বাসি ভাল।


রাত্রি, শোন,তোমায় বাসি ভাল,তাই -
অজানা অসীম রাজ্যে আমিও সঙ্গে যাব।
ঐ নীল আকাশের ধ্রুপদী সীমায়,
যতোবারই হারাবে,ততোবারই সঙ্গে যাব।


#$-------★★★-------$#
রচনাকাল - ২১ মে, ২০১৪ ইং
সময় - রাত্রির কোন এক শ্রান্ত সময়ে!