এবার বর্ষায় হয়তো তার সাথে হবে দেখা
মুখমুখি বসা হবে পুবের বারান্দায়।
বাতাসের আড়ি মেঘের পাড়ি
রৌদ্রোজ্জল ঘরের চাল পায়রার পেখম
রঙের বাহারি দেখে তাই মনে হয়!


হয়তো গ্রীষ্মের শেষে
বর্ষার শুরু সে এলে দেশে
কেমন করে প্রথম দেখা হয়?
কী কথা হয় তার সনে?
ভাবতেও ভীষণ লাগে ভয় মনে।
তার শহুরে শরীর হলুদ কাব্যময়
যদি আরো হলুদ হয়ে ওঠে
পথের কদম কেতকী জারুলের রঙে
চোখে চোখ রাখিব কোন লজ্জায়
না জানি কি হয় বিধাতাই জানে?


যদি সকাল খেকেই ভাঙে আকাশ
চারদিকে কালিমাখা মেঘ বৃষ্টির ঝাঁঝ
শাখা ফুল লতায় নতুন নতুন সাঁজ
যদি হঠাৎ ফেটে পড়ে আষাঢ়ের বাজ
শিরিশ বনে ডাল ভাঙার আওয়াজ
হৈ চৈ ঘাটের জলে
ঝাঁপ দিয়ে পড়ে উঠানের হাস
আমাদের জমে ওঠা কথার ভাঁজ
গল্পে চেদন পড়ে!
যদি এমন হয় সে শহুরে মানুষ
পাছে পায় ভীষণ ভয়!
আতকে উঠে আমার বুকে লুটে পড়ে
অথবা আমারে তার বুকে চেপে লয়।
যদি আমিও তার উষ্ণ বাঁধনে
সব ভুলে যাই সব কিছু হারাই
মল্লার রাগে আষাঢ়ের গানে
যদি বুকের ছোঁয়া
আরো বুকের ভিতর টানে
যদি সব কিছু এলোমেলো হয়
অজানা কোন বানে
যদি নিজের অসাবধানে কিছু যায় খোয়া!


যদি পাশের ঘরের কেউ এ সব দ্যাখে ফেলে
যদি অপবাদ দেয় পাড়ার লোকে
যদি সে শহরের ছেলে
অপবাদের ভয় শহরে যায় ফিরে
আমায় একা ফেলে রেখে
যদি ঘরের লোকেরাও এসব দেখে দেখে
ভুল বুঝে সবে- কলঙ্কিনি ভাবে মোরে
কি হবে তবে? আল্লাহই জানে
এবার বর্ষায় কি আছে কপালে?
হয়তো মরিব পরাণে
নয়তো বৃষ্টি ঝরা চোখ বৃষ্টির সাথে মিশে
মিলে যাবে বর্ষার জলে তারে ভালোবেসে।