বাংলাদেশের পরশে উছলে পড়া বুক নিয়ে বহুদিন পর আবার আপনাদের কাছে এলাম। সাথে নিয়ে এলাম মহীয়সী এক দিদির চরণ ছোঁয়া ও দোয়ার অঝোর ধারা। যার ফলে নিজেকে কেমন গর্বিত গর্বিত অমৃত অমৃত মনে হয়। আমার সেই মহীয়সী দিদি যিনি প্রখ্যাত গীতিকার (এ্যালবামঃ মনেরও আয়নাতে), গবেষক, কবিতা- কবি- সাহিত্য ও মানব প্রেমী; কবিদের কাজলা দিদি। আমার আজকের কথার জরাজীর্ণ ছেঁড়া মালাখানি তাঁরই পবিত্র চরণে নিবেদিত।
--------------------------------------------------------------------


সেদিন দোসরা নভেম্বর, দু' হাজার তের হেমন্ত লগন
ঢলে পড়া সূর্য শীতের আমেজ ভরা অমরা পশ্চিম গগন
তোমার সাথে দেখা বিধির শুভ লিখনে সার্থক  জীবন।


তুমি ছিলে অপেক্ষায় দুয়ারী অপ্সরা, আমি আসব বলে
মমতার মূর্তি যেনো গো! উঠেছিল জ্বলে 'কুঞ্জন' তলে।
স্বপরিবারে আমাকে দেখে তুমি একেবারে বিস্ময়ে অবাক
তোমাকে শ্রদ্ধেয় অবয়ব আভায় আমিও হলাম নির্বাক।
অতিথি বরণে স্বাদর সম্ভাষণে প্রথম তুমিই হাত বাড়ালে
হাতে হাত নয়, চরণে হাত বাড়াতেই অবাক তাকালে!
স্নেহার্দ্র মোহন স্বরে বললে, ওহে আত্মভোলা সে কী?
মক্কা-মদীনা-ইসলামী এমনটি কোথাও আছে না কী?
দিদি গো! ইসলামকে জীবন ভর কতইনা দিয়েছি ফাঁকি
আজ না হয় তব চরণে আরেকবার এ দুটি হাত রাখি।
পা হতে উঠায়ে তুমি দিদির মমতায় বুকে নিলে তুলে
তখন কিন্তু ইসলামকে তুমিই গিয়েছিলে ক্ষণিক ভুলে।


অঢেল আদর আপ্যায়ন মমতার স্রোতে আমরা গেলাম ভেসে
ধনী-গরীব ভেদাভেদ কিছুই দেখিনি তোমার শিখর-পাদদেশে
তুমি যে সোনার মানুষ গো! সোনার প্রসাদে মন মন্দির ভরা
যে লভিছে সে ছবি সে প্রসাদ স্বাদ সেই ই গর্বিত আত্মহারা।