কলকাতার রাজকীয় রাস্তায়
তার অবাধ বিচরণ নেই
তাকে দেখা যায়না
ভিক্টোরিয়া কিংবা নন্দন কাননে
ছাপার অক্ষরে নেই তার নাম
অবহেলা আর উপেক্ষা
তার সঙ্গী অবিরাম
তবু যামিনী এলে
নিষিদ্ধ গলিতে তার বিরাজ অকাট্য
যেখানে প্রতি রাতে ভিড় করে
এক রাজকীয় লাম্পট্য
তখন সে হয়ে ওঠে অসামান্যা
শরীর জুড়ে তার
আবহমান উদ্ভাসিত যৌবনের স্রোত
বুকে, সে ধরে রেখেছে
বর্ষার মাতলা যদি
তার সুঠাম রঙিন ওষ্ঠ
মেটাতে পারে মরুভূমির তৃষ্ণা
মায়াবী রোশনায় নেশাতুর লোলুপ দৃষ্টিতে
অগুনতি পুরুষ এবং কাপুরুষ
পুড়ে যেতে চাই
তার অনাবৃত শরীরের অনলে
কেনা ভালোবাসার বদলে
ওরা রেখে দিয়ে যায়
তৃপ্তির ছাপ তার গোটা শরীরে
সবাই তাকে করেছে শুধু আহরণ
শরীর ছেড়ে মনের নাগাল
চাইনি পেতে অকারণ
তার অবিরত মৃত্যুমাখা কান্নার সাক্ষী
ঘুমবালিশ আর মলীন ঝাড়বাতি
সে জানতে চাইনা জীবন দর্শনের মর্ম
তার উপলব্ধিতে শুধু শরীর মানেই ধর্ম
তার শরীর বেচা টাকা দিয়ে
আসে মায়ের ওষুধ আর ছেলের পুষ্টি
রাতের সেই লালকুঠির মেয়েটা
সকালে হয়ে ওঠে মা এবং মেয়ে
যে বেঁচে আছে শুধু তাদের পানে চেয়ে
সমাজ তাকে সতীত্বের অপবাদ দেয়নি
সে পেয়েছে নষ্টমেয়ের তকমা
সবাই শুধু শুনতে চেয়েছে
তার রেট ঘন্টা প্রতি
সম্বোধনে কেউ কোনোদিন ডাকলোনা শ্রীমতি
দিশেহারা মন প্রশ্ন শানায়
মগজের উস্কানিতে
সতীর সাথে তার আছে কি ফারাক
শোনিতে কিংবা যোনিতে ?