চাঁদ একা নয় তারা দেয় তারে সর্বদা সঙ্গতা,
জোনাকি আধারের দূর করে সব একাকিত্বতা।
একা আমি নেই মোর তারা বা জোনাকির বাহার,
কেউ নেই পাশে মোর বুকে রিক্ততার পাহাড়।।


যদিও ভোরের পাখিরা কলতানে মোর ঘুম ভাঙ্গায়,
কিন্তু একটু পরেই তারা ছুটে যায় দূর অজানায়।
বিন্দু বিন্দু শিশির যে হিমেল ভোরে আসে,
রোদ্র মামার হাসিতে ক্ষণিক পরেই থাকেনা আর ঘাসে।।


ঐ যে ফুলগুলো ফোটে আঙিনায় হয়তবা মোর তরে,
দুপুর না হতেই সুভাষ বিলিয়ে তারা সব যায় ঝরে।
খানিক বাদেই যখন সূর্যটা আসে মাথার উপর,
ঠিক তখনি একটি দোয়েল আসে তবু রয়না সে দুটি শিশের পর।।


অনেকগুলো লাল শাপলা ফোটে সঙ্গ দিতে মোরে দিঘীর মাঝে,
কিন্তু কি অভিমানে জানিনা তারাও ছেড়ে যায় মোরে সাঁঝে।
সন্ধ্যার একটু আগে পাখিগুলো ফিরে আসে নিজ নীড়ে,
কিচির মিচির রবে একটু সঙ্গতা দেয় সন্ধ্যায় মোরে।।


লাল আভা ছড়িয়ে ধীরে ধীরে সূর্যটাও যায় ডুবে,
আধার ঘনিয়ে আসে আর একাকিত্বের সায়রে আমিও যাই ডুবে।
একা আমি চাই সান্নিধ্য কারো প্রতিক্ষণে,
কেউ যদি দেয় সঙ্গতা মোরে ঠাই দেব তারে মনে।।


২২-১০-২০১৫