আজ বলবো দিনমজুর দুলালের গল্প,
যার সুখ বলতে নেই আজ বাকী অল্প।
একদিন তার ঘর ছিল এক খন্ড জমি ছিল,
মনের মাঝে সুখ ছিল বুকের মাঝে প্রীতি ছিল।।


বাড়ী ছিল তার সংসার ছিল ওই বালুর চরে,
সেবার পদ্মার জোয়ার তার সব নিল কেড়ে।
ছোট্ট মেয়েটি আগে মরেছে বৌ গেছে ভেসে,
সোনার গড়ন ছেলে মরেছে থাকত যে হেসে।।


গরু ছাগল ডুবে গেছে নদীর বিশাল বুকে,
এতকিছু হারিয়ে সে বেঁচে আছে যেন ফিকে।
বাবা ছিলনা মা ছিলনা ছেড়ে গেছে সেই কবে,
যা ছিল তাও হারালো সে দুখের মাঝে দেবে।।


কাজ করে সে শহর ঘাটে নিষ্ঠুর যেথা সবে,
পাথর মাথায় চাপিয়ে দেয় দুর্বল না ভেবে।
একটানা সে গতর খাটে পায়না অবসর,
দুখের বোঝা বইতে বইতে সুখ হয়েছে পর।।


আজ যেন তার দুনিয়াটা বড়ই দুঃসহ,
বিভুকে বলে রাখলি কেন বাঁচিয়ে এই দেহ।
কেন নিলি সব কেঁড়ে আমায় রেখে এই ধরে,
আজ যে আমার সয়না কিছু দুখেরি পরে।।


বড় বড় দালান আছে যেথায় বড় সাহেব থাকে,
সকাল হলে আপিস করে বহর মেলে পথে।
সেই পথেরই ধারে বসে ভাবে আজব এই খেলা,
একটু কেন পায়না তারা দিতে নজর বেলা।।


দুপুরটা তার ঘামে ভিজে বুকের মাঝে খিদে,
কেউ বলেনা হয়েছে বেশ একটু জির দে।
কাজের পরে কাজই আসে ভোর থেকে সাঝ বেলা,
জীবন গেল কাজের তলে থামল না এই খেলা।।


মাঝে মাঝে স্বপ্ন দেখে ফিরে পাবে সে সব,
বুকের মাঝে প্রেম জাগবে হবে সব সরব।
কিন্তু কোথায় কত দূরে আছে সেই দিন,
কোনদিনে মিটবে তৃষ্ণা শোধ হবে এই ঋণ।।


১৫-১২-২০১৫