আমি এসেছিগো আঁধারে ফুটিতে আঁধারের বুকে লুটাতে,
প্রভাত বেলাতে কারো আঁচলে করে হবেনা যাওয়া হবেনা ঠাঁই মালাতে।
আমি বকুল নইগো সুভাসে ছুটিয়া আসিবে যে কেউ,
নইগো আমি জবা শিউলি গড়নে নেই সৌন্দর্যের ঢেউ।।


মিতালী করি আঁধারের সাথে চাঁদ হেরি মোরে ঘৃণাতে ডুবে,
ওই মিটিমিটি জ্বলা তারাগুলি ফুঁটিলে আমি জ্বলেনা আর যায়গো নিভে।
নিজেকে আমি আড়ালেই রাখি কভু খুঁজে পায়না আর খোঁজেওনা গানের পাখি,
হঠাৎ-এ যদি পথিক ভুল পথে দিশাহীন চলে মোরে সম্মুখে পেলে ফিরায় আঁখি।।


জন্মের কি আর বিবেক আছেগো করিবে মোরে সুদ্ধে স্থান?,
সেই জন্মের বাঁধন ছিড়িতে পারিনা তাই মানি শিরে সব তুচ্ছজ্ঞান।
কি করিব আমি উত্তরণের নেই কোন ভরসা করিনা তাই মিছে আশা,
কি অসংগত ইচ্ছা আমার আসবে কেউ বাসবেভালো হয়ে নেশা।।


নাগো না আমি সে কথা বলিনা বলিতে সামর্থ্যের নেইগো জুড়ি,
তবে এই কথা মোর ভুলও নয় ইচ্ছার বড্ড বেশি বাহাদুরি।
দিগন্তের অন্ত নেই ছুটিয়া আসে কত মাছি মৌ লোভে,
তাই দেখে এই ইচ্ছা আমার যদি বলো মানিব তা পাপে।।


জানিগো আমি বন্দি বন্ধুর ব্যথা না বুঝিয়াও মনিব তারে রক্ষিতে চায়,
আর আমিতো আঁধারেই বন্দি কতটা তার ব্যথা অনুভবে মোর বুঝ তবে হায়।
এ জ্বালা মোর সহেনাগো আর হিংসায় জ্বলি পুড়ে পুড়ে ছাই,
মোর তরে কি ইস্রাফিল হয়েও ধ্বংস দ্বারে মুক্তির পয়গামী কেহ নাই?।।


পুণঃবার!
আমি শুধু চাহিবনা জোড় করিব খোদাজানের কাছে,
নতুন জীবনে ঠাঁই দিওনাগো দুনিয়ার মত মিছে।
নাইবা আমি যোগ্য হলাম নাযাত পোহাতে ভেস্তে পেতে ঠাঁই,
নরকের কষ্ট আগেই পেয়েছি ঐজনমে রাখো মোরে এজনমে তব সাথে তাই।।


পাপী আমি স্বীকার করি সত্য বলিতে নাহি ভয় দিলে মোর,
তবে এই জীবনে কি আযাবই দিবে দুনিয়ার
আযাবের আজও কাটেনিতো ঘোর।
মোর বন্দনা নেই যথাযথ তবে আছে যাচনা সম মহাশূণ্য,
ভুলিবারে মোরে শক্তি দাও এলাহীগো দুনিয়ার বঞ্চনা লাঞ্চনা ঘৃণ্য।।


জানি আমি ভালোহীনে করিছ মোরে পরীক্ষা এইভবে,
দিওনাগো ভয় করো সংশপ্তক দাও জ্বালা আরো তবে।
আমি তুচ্ছ মুহূর্তকাল ভাবিতে পারি এইসব জ্বালা প্রাণে স্বার্থ নাই,
যে আমার মনের নির্ঝর দেবী তারে যদি শুধু আপন করিয়া পাই।।


(নির্ঝর বলতে যে আমাকে ভালোবাসবে সে)
১৯-০৮-২০১৬