আমি বিস্মিত হই ক্রন্দন করি আঁধার দেখি,
সমাজটা শানিত শূলের আঘাতে বিষময় হয়ে রক্তে মাখামাখি।
শত শত যুবক যাদের হাতের মশালে বাংলাদেশ পথ পাবে,
তারাই ডুবে আছে গভীর তমস্যায় মৃত্যুর অভিশাপে।।


যাদের স্লোগানে প্রকম্পিত হবে রাজপথ বায়ান্নোর মত,
তারাই হতাশ! গেয়ে চলে পতনের মর্সিয়া যত।
হাতে হাত রেখে যারা একতায় গড়বে বাঁধন সূচনার,
তারাই আত্মকলহে সমাপ্তির বাণী শোনায়, আঁকে হাহাকার।।


এই লাল সবুজের পতাকা সূর্যের মত জ্বলবে যাদের বাহুবলে,
তারাই কিনা আজ আপন শক্তিকে ডুবিয়ে রাখে ভয়ে বক্ষতলে।
পায়ের শক্ত শব্দ প্রতিধ্বনিত হবার কথা দেয়ালে দেয়ালে,
তারাই তাস নিয়ে মজে আঁষাঢ়ে গল্প ভাজে জীবনের হীণ খেয়ালে।।


মিথ্যা, ভয়, জীর্ণতা আজ পেয়ে বসেছে খুব শক্ত সিদ্ধে,
অবিচার, অসমতা, স্বার্থ চিহ্ন আকাশ পাতাল মধ্যে।
মানবতার বুলি ছুড়ে হত্যা, ধর্ষণ যেন আজ নিত্যকর্মে,
ক্ষমতার কাছে অধিকার জিম্মি কতিপয় মুঠোর কালো কালো ধর্মে।।


সূর্য উঠে গলিত তাপদাহ না দিলে এদের ঘুম ভাঙ্গেনা,
পাখিগুলো ডেকে ক্লান্ত হলেও এদের ঘোর কাঁটেনা।
নদীর ভাঙ্গনে এরাও ভেঙ্গে যায়, গর্জনে কর্ণে আঙ্গুল,
সাগরের তালে তরী থাকেনা হালে ছিঁড়ে পাল ভাঙ্গে মাস্তুল।।


যাদের কাছে ভবিষ্যতের জয়গান শোনার কথা,
তারাই শুধু শোনায় মনে মোর হাজারো ব্যাথা।
আমি বিস্মিত হই! এই তবে নবযৌবনের উচ্ছল চঞ্চলতা?,
এই তবে প্রজন্মান্তর আধুনিকতার উন্নতি আর যান্ত্রিকতা?।।


তোমারেই ডাকি হে যৌবন প্রাপ্ত!
যুগের হাওয়া নিয়ন্ত্রণ করো যুগকে করো শাসন ভাঙ্গো নিরবতা,
জেগে উঠো হে যৌবন প্রাপ্ত, যৌবনের তাপে ধূলিত করো অস্বচ্ছতা।
ভিক্ষার ঝুলি নিওনা তুলি কর্মের পথে হও আগুয়ান,
বৃহৎ প্রাণে জাগাও ধরা হয়োনা ক্ষুদ্র অপমান।।


৩১-০৮-২০১৬