এই রাজধানী শহরের স্বচ্ছ পথে তপ্ত দুপুরে,
ক্লান্তির রেশ কেঁটে হঠাৎ ঝরলো বৃষ্টি অঝরে।
আমি উপভোগই করছিলাম আলিশান এক গাড়িতে বসে,
আমার স্বচ্ছ কাঁচটা অস্বচ্ছ করে দিলো বিন্দু বিন্দু জল এসে।।


হঠাৎ !
ওই অস্বচ্ছ কাঁচ ভেদে একটু স্বচ্ছ ভালোবাসা দেখলাম,
চোখ দু'টো দিয়ে হৃদয়ে শান্তির একটু ছোঁয়া পেলাম।
তবে !
আমার কাছে যেটা স্বচ্ছ প্রেমমূর্তি সেটা সেই মূর্তিমানের কাছে অস্বচ্ছ আকুতি,
তপ্ত যখন ছিলো এই শহর তখন রোদ্রদাহে এখন শান্তির ফোটায়ও চলছে নিরব মিনতি।।


এদের গায়ে জলন্ত রোদ্রাগ্নি প্রতিরোধক জামা নেই,
হিম হাওয়া তীক্ষ্ণ জল রোধের ছাতা নেই।
আমরা নিজেদের সুখে ব্যস্ত তাই এতকিছু ভাবার সময় নেই,
কোথায় থাকবে জোগাড় করে নিক না আমাদের কাছে দেয়ার কিচ্ছু নেই।।


আত্মচিন্তায় মগ্ন থাকি সেটাই সংকুচিত হচ্ছে এসব ভাবার কই অবসর?,
কেন জন্মদিলো কেনইবা বেঁচে রইলো মরতে পারলোনা প্রথম প্রহর?।
আমি কিন্তু দরদী সমাজের এক কান্ডারি !,
তবে !
সবার জন্য দরদ আসেনা এদের কাছেতো নেই বাসনা এতকুটুরি।।


মরুক, খাদ্য হোক শেয়াল কুকুরের তাতে কিছু হবেনা মোদের কমতি,
আমি ধার্মিকও বটে তবে নিজের তরে সব করি যাচনা রবের কাছে কাকুতি।
আমি জান্নাতের পথ খুঁজি নিজের গড়া পথে,
ভুলে যাই জান্নাত যে লুকানো এদের হাতে।।


আমি বড় দানবীর দেশের বড় মহাজন টিকিয়ে রাখি দেশ করে স্বচ্ছ রাজনীতি,
তবে !
এরা আমার দলের নয় কেন করবো এদের জন্য অস্বচ্ছ আমার আদর্শ আর নীতি?।
থাকুক না, এখানেই ওরা ভালো আছে জীবনের তরে যুদ্ধ করে কত মহান এ কাজ,
এদের সাথে কি আমি থাকতে পারি নোংরা এরা মোর কি নাই লাজ?।।


আমি কিন্তু সুশীল ভদ্র সমাজের সম্মানিত সুনাগরিক দেশের,
এদের নিয়ে ভাববো?
হাঃ হাঃ হাঃ
তবে কি হবে দেশের কি হবে দশের?
আমি মহাজ্ঞানী সম্পদ এই মহাবিশ্বের,
এদের নিয়ে ভাবতে গেলে মধ্যযুগে ফিরে যাবে সব, সভ্যতার হবে শেষ।।


২৪-০৬-২০১৬।


কিছু কথাঃ হঠাৎ একটি ফটোগ্রাফের দিকে দৃষ্টি আঁকটে
যায়, সেটি নিয়ে কবিতাটি লেখা, ফটোগ্রাফটি না দেখলে কবিতাটির অর্থ বোঝা যাবেনা। এই লিংক ব্যবহার করুণঃ


https://mobile.facebook.com/photo.php?fbid=604215959750960&id=100004876849221&set=a.308540022651890.1073741828.100004876849221&source=56