পায়ে বেড়ি, হাতে শিকল, বুকে জগদ্দল
কন্ঠ রোধে সবল হাতের কঠিন মুষ্ঠিতল,
আপনি গড়া কারায় বন্দী অন্ধ-বধির যত
বুকের রোদন চুপসে বুকে স্তব্দ মূকের দল।


সারা অঙ্গে পরলো কবে অমঙ্গলের ছায়া
কাল-কেউটের বিষ-নিঃশ্বাসে নীল হল যে কায়া,
পাথর-জমাট শোনিত ধারা অচল ধমনীতে
শীতল-শিরা স্পন্দনে আর হয় না তো উছল।


খল-কপটের কপাল জুড়ে দিগ্বিজয়ীর টিকা!
পাহাড় ডিঙ্গোয় হীন-অধমের দম্ভ-অহমিকা,
ঝিমোয় সমাজ আফিম ঘোরে সুশীল তকমা নিয়ে
সময় বিলোয় দরাজ হাতে কৃতের কর্মফল।


চাপড়িয়ে বুক কুল খুঁজে হায় জলনিমগ্ন জন
চেঁচিয়ে কাটায় বেলা ভুলে জলের সন্তরণ,
আঁধার রাতের ভয় তাড়াতে নেয় না মশাল হাতে
দু'চোখ বুজে হাতড়ে ফিরে স্বপ্ন-সুনির্মল।


ছল-চাতুরীর মেকি-ভাঁজে ভোলায় প্রতারক
অগ্নিদাতাই সাজে ক্রমে অগ্নি-নির্বাপক!
ঠক-ভেজালের জালের ফাঁদে আপনি দিয়ে ধরা
'কপালের দোষ' বলে ফেলে চোখের তপ্ত জল।


হায় অভাগা অন্ধ-জাতি, হায় রে বধির-মূক
কার কাছে হাত পাতিস্! ওরে, সে যে সর্বভূক,
ছিঁটিয়ে থু-থু পারবি কি রে করতে বিদায় তারে
ঝেঁটিয়ে কর হালের বে-হাল পঙ্গপালের দল।।