তৃষ্ণার জলে মিশেছে রক্ত, চোখ বুজে করে পান
ঝিমোয় হিন্দু মন্দিরে বসে, মসজিদে মুসলমান,
অসুর-শয়তান হাতে হাত ধরে উল্লাসে মাতে আজ
নাকের ডগায় বুনো-নর্তনে কাঁটিছে খাঁদের খাঁজ।
হিতের  বাঞ্ছায়  পুরোহিত  জপে  মন্ত্র - রুদ্র  মালা
দাঁড়ি খুঁজলিয়ে মোল্লা চলে চোখ কানে দিয়ে তালা,
মেকী কান্নায় খোদার কাছে মোনাজাতে তোলে হাত
ভগবানে  চায় আশিষ হিন্দু  নমেঃ নমেঃ দিবারাত।


করুণ আর্তি ছলে---
চায়  পরিত্রাণ  পাপিষ্ঠ  হতে  কৌশলে  মধু-বোলে।
ভুলে যায় ওরা অসুর  বধিতে খড়গ  ধরেছে  মাতা
জিহাদের হুকুম দিয়েছে খোদা সাক্ষী কোরান'পাতা,
রুদ্রাণী  মাতা  হয়েছে  ক্রুদ্ধ,  মানবের  স্নেহে  পরে
নিধন করেছে  অসুরের  প্রাণ  নিদয় আঘাত করে।


জগতের শিরোমনি---
নবী মোহাম্মদ গেছেন সমরে খোদার হুকুম মানি।
সোনার আখরে লেখা আছে তা ইতিহাস পাতা'পরে
সত্য- নিশান  উড়ায়েছিলেন  মিথ্যের কারাগারে,
যত  অ-ধর্ম,  যত  অবক্ষয়,  যত  হীন  কু-সংস্কার
বোধে নয় বধে করতে হবে আজ জগত পরিস্কার।
লোভ-পাপ-রিপু দমনে আজকে হৃদয়াসুরের ঘাড়ে
হানতে  হবে কঠোর  আঘাত  বজ্র  থাবাতে ধরে,
শান্ত,  সুন্দর,  নির্মল  ধরায়  মানবতার  হবে জয়
কঠিনে- কোমলে  মিশে  হবে প্রাণ  উচ্ছ্বল নির্ভয়।
শান্তি-ব্যঘাত বলে যারা ফতোয়ার ধোঁয়া তোলে
সৌম্য-কান্তি মায়ের দোহাইয়ে নাশিনীর রূপ ভোলে,
হোলির রক্ত-ঘ্রাণ খুঁজে যারা চিবানো পানের পিকে
তাদের খাতায় ধিক্কার শুধু জগত দিতেছে লিখে।।