চলতে গিয়ে হোঁচট খেয়ে জুতা গেলো ছিঁড়ে
নদু এসে বলল, দাদু ভাবনা কিসের ফেরে!
বাজার থেকে আনব কিনে নয়া সূঁই আর সুতা
দেখবে কেমন সেলাই করে দেই সারিয়ে জুতা।


নদু মানে নদের আলী, মাথায় ঘিলু কম
যে বলা তার ওমনি করা, ঠেকায় কে তার দম!
বলি আমি, শোন্ রে নদু, সূঁই-সুতারে ছাড়
হাট থেকে আন্ সারিয়ে, আজ তো হাটের বার।


ঝড়ের বেগে ছোটে নদু কাজ পেল সে বেশ
মাথার চেয়ে গতর খাটার আছে তার অভ্যেস,
হাটে গিয়ে নদের আলী বলল দোকানদারে
জুতা খানা দাও সারিয়ে ভালো মতন করে।


হাসে সবাই, বললো- নদু কামার ঘরে জুতা!
ক্ষ্যাপা নাকি! পাগলা ষাঁড়ে দিল নাকি গুঁতা?
মুদির দোকান-দর্জিঘর-আড়ত-গুদাম ঘুরে
নাকাল হলো নদের আলী, তাড়ায় সবে তারে।


মনে মনে ভাবছে নদু- দুত্তরি ছাই, একি!
হাটজুড়ে তো দেখছি সবি আমড়া কাঁঠের ঢেঁকি
জুতা সেলাই কঠিন কিসে পেলে নগদ টাকা!                                                                   কাজের বেলায় ফড়ফড়ানি, কথায় সবে পাকা।


ছেঁড়া জুতো হাতে নিয়ে ফিরলো নদের আলী
রাগে আগুন মেজাজখানা, পানসে মুখে কালী,
ডেকে বলি, -ওরে নদের নাই কি মুচি হাটে?
হাঁ-করে সে তাকায়, মুখে কথাটি না ফোটে।


বুঝিয়ে বলি কাছে ডেকে - বোকা নদের ওরে
যার যে কাজ তারে ছাড়া অন্যে কি আর পারে??