আমি হেরিনু আজি তব ওই মলিন বদনখানি,
যেথা কপোল বহিয়া ঝরিয়াছে চোখের পানি।
আমি দেখিনু চক্ষু মেলিয়া আজি একটুখানি,
গড়ায়াছে হেথা পানির সহিত সকল কালো গ্লানি।
দিও না দিও না তুমি মোরে অভিশাপখানি,
আমি মুছিবো তোমার চক্ষুযুগল ধরিব আঁচলখানি।
তুমি ফেলো না আর প্রিয়তমা তোমার চোখের পানি,
আমি জানি ওগো প্রিয়তমা তোমার দুখের হেতু জানি।
আমি হেরিনু আজি তব ওই মলিন বদনখানি
যেথা কপোল বহিয়ে ঝরিয়েছো চোখের পানি।


জোসনাভরা সেদিন রাতে তব ওই দুহাত কেন ধরি নি,
প্রণয়ের বশে বুকের মাঝে তোমায় জড়িয়ে কেন ধরি নি,
সকলের অগোচরে চুপিচুপি তব কানে ভালোবাসি কেন বলি নি,
নির্জনে নিশ্চুপে তোমার বুকের মাঝে কেন মাথা রাখি নি,
বাদলের ওইদিনে তোমার হাতে হাত রেখে বৃষ্টিতে কেন ভিজি নি,
নতুন ভোরে হাসনাহেনার গাঁথা মালা তোমার খোঁপায় কেন বাঁধি নি,
গাঢ় কাজল পরা প্রণয়াসক্ত তোমার দুচোখে কেন চোখ রাখি নি,
তিলে তিলে গড়ে তোলা তোমার যতন করা ভালোবাসা কেন আমি বুঝি নি,
অবহেলা যত আছে সবই রাখিয়াছো মনে কিছুই তাহার ভুলো নি,
অভিমান করিয়া তাই আগমন দিবসে মোর মুখে কিছু তোল নি।


মান ভাঙিয়া আজি দেখাও মোরে ওগো প্রিয়তমা তব চাঁদ বদনখানি,
বহুদিন ধরিয়া প্রণয় রাখিয়াছো গোপন করিয়া ভালোবাসো মোরে জানি।
আমি হেরিনু কখনো চক্ষু মেলিয়া তব আঁখিভরা জলরাশি,
আমিও কখনও করি নি প্রকাশ তোমায় কতটা ভালোবাসি।


                __♦__


রচনাঃ- ২১/ ৭ ২০২০ ইং।
রাতঃ- ৩ টা।
মেরুল বাড্ডা, ঢাকা।