তমসা কাটিয়াছে
ভানুর জ্যোতি দেখা যায় ঐ,
লোকেতে সমাবেশ
পাঞ্জেরী মোদের কই?


আচমকা উদয় এক মশালের
হস্তের আহবানও দেখা যায়,
লোকেতে বুঝিলো পাঞ্জেরী বুঝি এলো
মিছিলের ধ্বনি পলকেই ঠাঁই পায়।


খানিক পরে মোহ ভাঙ্গিলো লোকেদের
এ কোন পাঞ্জেরী ভাই?
ভূতের সরষে দিয়ে কি কভু
ভূত তাড়ানো যায়?


ওদের কথার বুলি ছড়ায়ে ছিটায়ে
কোথায় নেইকো কহো!
বুলির জাদুতে ভুলায়ে আদমেরে,
আঁখিকোণে ধরায়ে কেবলি মোহ।


কপটেরা কভু জোঁক, কভু শূল
রক্ত চুষিয়া লয় লোকেদের,
রক্তশূন্য করিয়াও ছাড়েনা তাহারা
তৃপ্তি ভরেনা কভু ওদের।


শ্রান্ত হইয়াও খুজিতে থাকে লোকেদের দল
মশাল, পাঞ্জেরী ঐ!
হন্য চাহনি এদিক তো ওদিক
পাঞ্জেরীর দেখা পাবে কই!


পাঞ্জেরী হয়তো আসে!
জোঁকের সাজে করিতে রক্তপান,
লোকেদের স্বপ্ন ধূলোয় মিশায়ে
ছাড়ে যদি ঝরে লক্ষ হাজারো প্রাণ।


লোকেরা ভাবে
পাঞ্জেরী বুঝি এলোনা আর,
কোথায় সে?
চারিপানে গগনবিদারী চিৎকার।


কহে তাহারা, ঘুণে ধরা মোরা
স্বীয় সৃজিত এ নিয়তি,
নিজ কুঠারে বারংবার মোরা
চরণে আঘাত করেছি।


লোকেদের ঠাঁই আজিকে নিরাশায়
পায়না খুজে পাঞ্জেরীরে,
তাহাদের সূর্য আজ অস্তাচলে
কবেইবা আবার সূর্যোদয় হতে পারে?