এত মানুষের ঋণ শুধিব কেমনে ?
বোঝাটা অতীব ভারী তাই বড় ই জ্বালাতন এ মনে !


ঘর হইতে দ্বার ঘুরিছি যেথা
বাড়িয়াছি দুই হাত
কেউবা ফিরায়েছে রিক্ত হস্তে
আবার কেউবা ভরিয়া দিয়াছে মোর পাত ।


কাঙাল নহে আমি , শুধুই দেনার হিসাবে ঋণী !
মস্তক নীচু তাহার তরে
সৃজিছে আমায় ঐ বিধাতা যিনি ।


তাহার অঙ্গুলির ইশারায় ঘুরছি ঘূর্ণিপাকে;
ঝড়-তুফান , শত স্বংকুলতার আঘাত
তবুও তিনি রক্ষক, দেখিয়া সব ঐ
অদৃশ্যের আড়াল থেকে ।


আজব কারিগর তুমি ওহে বিধাতা
আজব তোমার সৃষ্টির সেরা কূল !
আপন সাজিয়া যায় পর আবার পর হইয়া যায় আপন
কি আজব ! কি আজব !
এই হিসাব মিলাতেই গন্ডগোল ।


অদৃষ্ট আমার পরীক্ষায় ভরা
ফেল করি নাই কভু !
বিপদে মোর কেউবা ছিল পাশে , কেউবা আবার সটকে গিয়াছে
ইকিমাত্র তুমিই পাশে ছিলে সদা
ওহে আমার কারিগর, বিধাতা-ভগবান-প্রভু ।


যে মনুষ্যগুলো মোর বিপদে আছিলো পাশে
তাহাদের পাওনা আছে কি মোর সাধ্য শুধিবার ?
এই দেনার হিসাবটাই করিয়া চলিছে
মোর অবুঝ হৃদমাজার বারংবার ।


এই হিসাব কভু মিলিবেনা জানি !
তাহার খবর তুমিই জানো ওহে অন্তরযামী ।
কি আছে এমন আমার ? শুধিব তাহাদের ঋণ
তুমিই দেখাও পথ , তুমিই ওছিলা হও
ওহে ভূবনেশ্বর, খোদায়ে আলামীন ।


আমার নয়নে আজিকে আষাঢ়ের জল
পথ যে সকল বাঁকা,
ঋণের হিসাব, দেনার হিসাব
মন ক্যানভাসে রুধীর তুলিতে আঁকা ।


নিদ্রাহীন নেত্র আজিকে বড়ই অসহায় আর ক্লান্ত;
শ্রান্তিতে পাইয়াছে মনে
সব কিছুই যেন আজিকে বিরামহীন,
জটিল অংকের কষাঘাতে বিমূর্ত আর শ্রান্ত ।


তবুও মুষ্টি চাপিয়া বলি,
শুধিব সকল ঋণ !
নিশি প্রহরের অপেক্ষা !
আসবে কবে আমার সেই দিন ?