পা দুলিয়ে
কেশ এলিয়ে
বসিছে নববধূ,
চাঁদখানা মুখ দেখতে আহা
ভীড়ছে পড়শি শুধু।


কেউবা তাহার নাকটি ধরে
কেউবা দেখে পা!
দেখতে মজা! নয়তো সোজা
আসিছে! কুঁজওয়ালা বুড়িটা।


কেউবা বলে বুড়িয়ে বধু
কেউবা কহে নাক বোঁচা,
কেউবা আবার খুত ধরিছে
নয়তো বংশ ওচা?


কেউবা আবার হাত দেখে তার
কেউবা দেখে চোখ!
খুতের আহা নেইতো শেষ আজ
বাঁকায় পড়শি মুখ।


কেউবা টানে গায়ের শাড়ি
কেউবা দেখে চলন!
কেউবা আবার যাচিয়া দেখে
বধুর মুখের বলন।


পান চুনেতে চিবুনি পড়শি
ঠোট করেছে লাল!
কুটনি তারা! বধুর পানে
ঝাড়ছে কথা কটু-ঝাল।


কেউবা আবার পক্ষে বধুর
কহে! সুশ্রী তাহার বদন
বর-কনেতে মানিয়েছে বেশ
আহা! কি মধুর সংযোজন।


দেখাদেখির পালা শেষে
পড়শি ধরে পথ-বাড়ি,
হাফ ছাড়িয়া বাঁচে বধু
ধরে অলীক আড়ি!


(বিঃদ্রঃ চন্দ্র বিন্দু "ঁ" ignore করুন"