গোড়ের পাড়ে দাড়াই হেতু
ভাবিয়া পাইনা কূল,
নিজের কুলের গোড় সবেতে
মাথায় লাগে দোল!
চারিপাশে কড়ই-বড়ই
মাঝখানে সব গোড়,
ভানু বিবির পালা হেতু
ধরিয়াছি মুই সুর।
এইযে গোড় দেখছেন হে ভাই
ভানু কবিরাজের,
ফাটল তাহায়, চিহ্ন মুছে
ঢাকনা তাহায় ঘাসের।
দিন গড়াল, মাস পেরোলো
দর কষিছি সময়ের,
একশ ন'তে প্রাণটা গেল
ভানু কবিরাজের।
আমার দাদী, রক্তে মেশা
বাড়ীর সবার তাজ,
নামটা হে ভাই সবার মুখে
ভানু কবিরাজ।
শ্যামল রঙের তনু তাহার
পিপড়া পায়ের চলন,
হাসিতে যে সুস্মিতা সে
সুদর্শনী বলন।
লম্বা সেতো, চোখটা ডাগর
মালকীন লম্বা কেশের,
ধপাস আওয়াজ পায়ের তাহার
ইরান-তুরান দেশের।
কৈশোরেতে ধান কুড়াত
আম কুড়াত বনের,
পুতুল বিয়ে, জুলা-পাতি
খেলিত কত রঙের।
বাধ সাধিল বিয়েটা হায়
ডাকল বাপে কাজি,
শ্বশুর বাড়ি পা বাড়াল
নতুন বধু সাজি।
চার ছেলে আর দুই মেয়েতে
সাজাল সংসার,
কষ্ট চাপি ভানু বিবি
দিন করিত পার।
দূর্দশা না ছাড়ত পিছু
আসিতনা ক্ষণ যেচে,
পরপারেতে পাড়ি দিল
স্বামীটাও অবশেষে।
বাজ পড়িল তাহার মনে
অভাব পারাবার,
কি করিবে, কোথায় যাবে
বিধবা সাজ যে তার!  


(সংক্ষেপিত)