ফযরের ধ্বনি ঐ শোনা যায়
মুয়াজ্জিন ডাকে,
জাগিছে সব বিহঙ্গ-জন্তু-জানোয়ার
মোরগ কুক্কুর কু হাকে।


মুসল্লি বা ব্রাহ্মণ
ধরিছে আড়ঙের পথ কিবা মাঠে,
ব্রহ্মাণ্ডের সবাই জাগিয়াছে
কেবলি আমিই শুয়ে খাটে।


পাশেই হেথায় হাঁট জমিয়াছে
লোকেতে সরাগম,
যোহরও পেরিয়ে গেলো
তখনও খাটে আমি নরাধম।


বিধাতারে আমি ভুলেই গিয়াছি
আসরের বেলাও হয় শেষ;
লোকেরা ব্যস্ত মাঠে কিবা হাটে
জেগেছি আমি বটে,
বিধাতার নামটি স্মরিনাই ঘুণাক্ষরেও বেশ।


মসজিদ কভু টানেনা আমায়
ব্যস্ত বন্ধু আড্ডায়;
লোকেরা ফিরিছে ঘরে মাঠ হইতে
মাগরিবও যায় আমার,
খোশগল্প কিবা মাদক নেশায়।


এশারের ধ্বনি কানেতে বাজিছে বটেই
লোকেরা ছুটিছে মসজিদ পানে;
আমি ব্যস্ত টিভি কিংবা মুভি দেখায়
এশাও চলে যায়,
নামায কি আর আমায় টানে?


বছর পেরোলো কত
কাটিলো কত বেলা,
বিধাতারে আমি ভুলেই গিয়াছি
পরকালরে করছি হেলা।


ওহে প্রভু! শুনিতে কি পাইবো
কভু আর আযানের সুর;
সময়তো নেই বসে আর, উপলব্ধিই এখন
দেখিতে পাইবো কি কভু,
আর আগামীর সকল ভোর?