দুঃখ আমারে চেনে,
চৌরাস্তার মোড় থেকে বাম দিকে
একশো কদম
নদীর পাড় ঘেঁষে বটের ছায়ায় ছাদ হীন ঘর
দেয়াল গুলো অদৃশ্য রঙা
আঙিনায় বাতাস খেলে গোল্লা ছুট
মুগ্ধ নয়নে চাঁদ দেখে রোজ আমার বাসর রাত,
কখনো বৃষ্টি জলে নেয়ে
স্বপ্ন দেখি বাবুই পাখির ঘরের,
হাড় কাঁপানো শীতে
শুকনো পাতার আগুনে খুঁজি তোষকের ওম।


দুঃখ আমারে আগলে রাখে স্নেহে
মায়ের মতো, মমতায়
ভাইয়ের মতো,
প্রেমিকার অন্তহীন আবেগের বৃষ্টির মতো
দুঃখ আমারে ভেজায়,
বাঁচতে শেখায় কাঁদতে কাঁদতে
হাত ধরে চলতে শেখায় প্রখর রোদের উত্তাপে।


আমার সংসারে দুঃখ অতিথি নয়
গৃহস্বামী, কষ্টের সাথে আমার কোনো সংঘাত নেই
সখ্যতা আছে,  ভালোবাসা আছে দৈন্যতার সাথে
আগুন আমারে পোড়ায়না
আমি পুড়ি
কেননা আমি এক দুঃখের দেশের প্রজা !