বৈশাখ! তোমাকে কেউ ভালবাসে কিনা জানিনা
আমি বাসি, তোমাকে ছেড়ে আসার পর থেকে
হৃদয়ে ঝড়ো রাত্রিভর মায়ের বকুনি খেয়ে
আম কুড়াবার স্বপ্ন তাড়া করে,
ভোরের পান্তা ভাতে ইলিশ ভাজার ঘ্রাণ
কাঁচা আমের নিমকিন চাটনিতে ধনে পাতা আর
কাঁচা মরিচ, কত বছর গেলো পরবাসের ব্যস্ত শহরে
পাইনি তোমার ভালোবাসার স্বাদ।


বৈশাখ! তুমি এলে বৃষ্টি ঝরে
কৃষকের শুষ্ক পাঁজর ভিজে উঠে ফসলের স্বপ্ন,
মায়েরা গান গেয়ে তোমার চরণে রাখে
পিঠা,পায়েস, নববর্ষের উৎসবে মাতে ছেলে বুড়ো,
ভাটিয়ালি সুরে মাঝি পাল তুলে জীবনের সন্ধানে,
কুমারী নারীর বিনম্র হাঁসি খুঁজে পায়
কলসি ভরা জল।


বৈশাখ! তুমি শুধু বেদনার নও,
আনন্দে আকাশ মাতে বিজলির চমকে চমকে
হাল খাতা উৎসবে বছরের ক্লান্তি ক্লেদ ধুয়ে
ভালোবাসার আলিঙ্গনে পথে পথে বিছিয়ে দাও
সাম্যতার আলো।