ছেঁড়া আঁচল রোদে পোড়ে পোড়ে
ভাজে ভাজে ছেঁড়ে যায় রুহের বুনন,
ধূসর সফেদ রুক্ষ চুল, মলিন কাঁপা হাতের শুস্ক ত্বক,
অবসন্ন চোখ জোড়া কোয়াচ্ছন্ন হলেও স্বপ্নবান,
ক্লান্ত হলেও নিমকিন জলোচ্ছাসে ভাসেনা
মেদহীন কুচকে যাওয়া গালে বাদামী উজ্বলতা,
দাঁতের যান্ত্রিকতা এখন আর নেই।
বয়সের নিদারুন ছলনায় আহত সত্তোরের পৌঢ়ত্বে,
মেঘলা আকাশের তলে বিপন্ন সন্ধ্যা বেলা
পেটে ভীষন ক্ষুধার জালা.......নিয়ে ঘর ঘর ফেরা।
কেউ দেয় এক মুঠো সিদ্ধচাল, কেউ চায় ক্ষমা,
মৌন প্রত্যাখানে কেউ করে হেলা,
কারো অবজ্ঞার রক্ত লাল চোখ দেয় তাড়িয়ে।


একই দৃশ্য প্রতিদিন দেখি,
গ্রামের বাঁকা পথ ধরে কাঁপা হাতে বাশের লাঠি
অন্য হাতে ঝুলি,
সকাল থেকে সন্ধা আশা-নিরাশা জমা করে ফেরা হয় ঘরে,
ঘর মানে ঝুপড়ি দেয়ালহীন একাকীত্ব, মৌন বাতাস
নড়ে চড়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে পৌষের রাত।
রান্নাবান্না কখনো হয় কখনো কারো করুনায় আহার করা,
সঙ্গি সাথী কেউ নেই,  
বউয়ের হাত ধরে একমাত্র ছেলেটা পালিয়ে গেছে সেই কবে
পুত্র শোকে মাঝে মাঝে অঝোরে কাঁদে বুডি মা।
রোগ্ন একটা বালিশ আর ছেঁড়া কাঁথায় মোড়া হাড়  সমেত দেহটা
শীতে ওম খুঁজে,
আধো তন্দ্রা নিমগ্ন চোখ স্মৃতির বর্ষায় ভাসে রোজ।