যখন আমি স্কুলে পড়তাম, এই স্কুলটা
আমার ছিল, খেলার মাঠ, ক্লাস রুম সবই,
সেই গ্রামটাও, যে মাঠিতে নাড়ী কেটে পুঁতে রাখা,
রাস্তার পাশের বৃক্ষ
খালের মাছ, গাছের জামরুল,
আকাশের মেঘ, বাতাসে ঘুড়ি, সবই
এমন কি আকাশের চাঁদটাকেও মনে হত আমারই,


পাশের বাড়ীর ফুটফুটে মেয়ে চুমকির
লাল ঠোঁটের মিষ্টি হাঁসির এক এক টুকরো
তুলে রাখতাম হৃৎপিণ্ডের কাছাকাছি,
তার বেণী খোলা চুলে বাতাসের মগ্ন সাঁতার,
কপালের তিল, মনে হত আমারই আজন্মের শ্বাসপ্রশ্বাস;


রোজ পিতার পকেট মেরে জমাতাম চার আনা, আট আনা,
পোড়া মাটির হলদে রঙা ব্যাংকের লকারে,
মায়ের বকাঝকা পিতার রাঙ্গা চোখ ভুলেই যেতাম
একটা সেকেন্ড হ্যান্ড সাইকেলের নেশায়;


সেই সব দিন পুড়ে গেছে অজান্তে ভাতের চুলোয়
কাঠ খড়ের মত,
খরচ করে ফেলেছি যত খুশি স্বপ্ন রেখেছিলাম
মাটির ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট,
আজ শুধু অস্রুসিক্ত ক্লান্তি ছাড়া আমার আর কিছুই নেই।