যবে জন্মেছিলুম শুধু ছিল একজোড়া ডানা
দিন গেলো সাথে ডানাগুলো বাড়তে লাগল,
মাস গেল মাটির থেকে উঠে গেলুম নীল আসমানের দিকে।
আগে প্রখর রৌদ্র অসহ্য মনে হতো,
এখন যাদের অসহ্য মনে হয় তারা চলে আসে আমার কাছে।
আমার ছড়িয়ে যাওয়া ডানা দিয়ে ওদের ছায়া দেই
ক্লান্ত শরীরে বুলিয়ে দেই মমতাময়ী সুশীতল বাতাস।
একদিন উড়ন্ত পাখির ঠোঁট হতে ছিটকে পড়ে
আকড়ে ধরেছিলুম ভূমির সবুজ আস্তরণ।
তার পর কেটে গেছে বহুক্ষণ, মাস, বছর
মাটির থেকে মাতৃস্নেহ পেয়ে
ক্রমে বিশালতায় ভরে গেছে সমস্তটা।
এখন আমার ডানায় শত পাখির বাসা,
ওদের ছানারা দিনরাত গান শোনায় অপরিণত গলায়,
দিনান্তে পরিণত কিছু সুরও কানে আসে।
রাতের অন্ধকারে যখন ঘুমিয়ে যায় সমস্ত মাঠ
শুধু আমি জেগে থাকি
চাঁদ-তারাদের সাথে সময় কাটে।
কখনো শিশির সঙ্গ দেয়,
কখনোবা জোনাকি এসে বাহারি আলো জ্বালায়
কখনো ঝিঁঝিঁপোকা উচ্চ কণ্ঠে গান শোনায় ।
আবার যদি কখনো আকাশের মন খারাপ থাকে
বৃষ্টিদের পাঠিয়ে দেয় আমার কাছে।
আমি দিনরাত জেগে থাকি আর
পৃথিবীর সমস্ত বিষাক্ততা শুষে নিয়ে,
নিরবেই ছড়িয়ে দেই নির্মলা শুদ্ধ বাতাস।