শেষ বিকেলে নদীর শান্ত জলে,
যদি ঢেউ এর পরে  ঢেউ এসে
আছড়ে পরে কচুরিপানার ওপরে,
ক্ষত বিক্ষত করে ফেলে তার তোড়ে,
তবে নিশ্চল থেকো
বুকে বল রেখো
আর চেয়ে চেয়ে তুমি দেখো।
এমনি করে কভু কেউ হানা দেয় তোমারে
প্রতিবাদ করার শক্তি তুলে রেখো
শত ভীরুর দলে নিজের নামটি লিখো।
যদি দমকা বাতাস হঠাৎ এসে
প্রিয় গাছ ফেলে ভেঙে
উৎপাটিত করে সমূলে
শান্ত তুমি থেকো।
ঝড় পেরুলেই বুকে চাপা ব্যথা নিয়ে
কুড়ুল দিয়ে গাছটি কেটো।
ভাঙ্গা ডাল যদি বাঁধা হয়ে যায় পথে,
সরায়ে দিও দুহাতে।
তুমি গরীব প্রজা,  মন দাও নিজ কার্যে,
স্বৈরশাসক রাজা যে রাজ্যে
মুখ বুজে সব সহ্য করা বাদে,
সেখানে তোমার কি-ই বা করার থাকে!
প্রতিবাদী হতে যেও না,
এখানে সাহস দেখাতে মানা।
আপন যত স্বজন তোমার আছে,
বিপদ বেলায় কেউ রবে না কাছে।
ভিটেমাটি হারাবে তুমি,  সাথে পরিবার
দুর্ভাগ্য মেনে নেয়া ছাড়া কি-বা আছে করবার।
নও তুমি রাজা,
গরীব প্রজা,
দুবেলা আহার,
আর দয়ায় বেঁচে থাকাই তোমার অধিকার।
রক্ত লাফায় শিরায় তোমার!
দেও প্রতিবাদী হুঙ্কার!
একটু থামো,  এ নয় তোমার কর্ম
ওদের সাথে লড়বার মতো নেই তোমার বর্ম।
তবে কেন ভুল পথে পা বাড়াও!
সব ভুলে আজ চুপ হয়ে যাও।

রচনাকালঃ ২১ এপ্রিল ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ।