চাঁদখানি আজি পূর্ণতা পেয়েছে
গোল হয়েছে দেহ,
আনন্দে তাই আত্মহারা
হাসি দেখেছে কেহ।
দুধের মতো ধবল আলতা
পরেছে তার পায়,
আলতা রাঙা পায়ের রূপ
ছড়াচ্ছে সারা গায়।
কলমি লতার ফুল ফুটেছে
লাজে রাঙা হলো তারা,
চাঁদের হাসিতে লাজ ভুলে হাসে
নবীন এলো যারা।
বকুল তার গন্ধ ছড়ায়
ভুলে সকল কাজ,
দীপ্ত পায়ে বধু এসেছে
তার ভেঙেছে লাজ।
জ্যোৎস্না রাতে ঘুম আসে না
বাইরে বেড়ায় সে,
চাঁদখানি আজ হেসে হেসে বলে
একলা এলে যে !
ঘোমটা খুলে চাঁদ দেখে বধু
অপরূপ বসুন্ধরা,
তারাগুলো সব দিচ্ছে সাঙ্গ
নাচছে বাঁধনহারা।
সবাই যখন ব্যস্ত রয়েছে
লুটাতে জ্যোৎস্না রূপ,
কবি তখন সকল ভুলে
কবিতায় দিয়েছে ডুব।
জ্যোৎস্না আলোয় কবি ভেবে চলে
নতুন রঙের কবিতা,
কাব্যখানা তার লিখতে হবে
চলবে না কোন ভনীতা।
কবিতা তাহার প্রেম ভালোবাসা
কবিতা জ্যোৎস্না আলো,
কাব্যখানা পূর্ণতা পেলে
সব লাগবে ভালো।
নইলে রাতে ঘুম হবে না
কুৎসিত লাগবে চাঁদ,
আজ রাতে তাই সব ভুলেছে
কবিতা দেয় নি বাদ।