সবুজ গাঁয়ের সবুজ আঁচলে
বাসা বাঁধে শত পাখি,
মোহিত কতক রূপে তার
শিল্পী বাঁধে ছবি আঁকি।
আঁখি মেলে দেখো যত দূর
সবুজ-সবুজ পারাবার,
সবুজের কোলে মাথা রেখে ব্যোম
বাড়িয়েছে তার বাহার।
সবুজ ক্ষেতে সবুজ রঙের
পাখির উড়ে ঝাঁক,
সবুজের রূপ লুটাতে নদী
এগাঁয়ে নেয় বাঁক।
স্রোত তার দ্রুত চলে দূরে
এখানে এসে ধীর,
এগাঁয়ের রূপে পাগল মেঘও
এখানে এসে স্থির।
আদুল গায়ে ছেলেরা সদাই
লুটোয় কাদা জল,
হাসিতে খুশিতে রঙিন এ গাঁর
পূর্ণ প্রতিটা স্থল।
আসে যত ভিনদেশী এ গাঁয়
চায় না যেতে ফিরে,
চায় বারোমাস এ গাঁয়ে রবে
ছনের ছোট্ট ঘরে।
ক্লান্ত দুপুরে মগডালে বসে
ডাকে কত ঘুঘু রোজ,
দুরন্ত একদল কিশোর সদাই
লাগায় সে ডাকের খোঁজ।
এলোপথ দুলে সাপের আদলে
চলেছে দূর গাঁয়,
পথিক কত গিয়েছে শত
অশ্বথ গাছের বায়।
শতবর্ষের গাছটাকে ঘিরে
রয়েছে কত কথা,
কথার কথা-ই ওগুলো শুধু
কেউ পায় নি কখনো দেখা।
এগাঁয়ের লাউ-কুমড়োর মাচায়
আছে গৃহিণীর যত্ন,
কোমল হাতের ছোঁয়ায় উঠোনে
ফলায় মানিক রত্ন।
এ গাঁও আমার ছবি মতোন
ছবিই যেন এক,
গাছের শাখার অনুরূপ যেন
লোকগুলো গাঁয়ের শাখ।
ধন্য আমি জন্মে এগাঁয়
মায়ের মতোন গ্রাম,
মায়ের পরেই মা এ আমার
হৃদয়ে আঁকা তার ধাম।


রচনাকালঃ ১৬-ই মে ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দ