শৈবলিনী কেনো এতো বয়ে চলো !
অনেক চলেছো এবার একটু থামো ।
আজন্ম তুমি লভেছো বেগ,
উৎসে কি ছিল কোন আবেগ!
তোমার স্রোতে অনেক ধার,
নিজেই ভাঙ্গো নিজের পাড়।


ভরা যৌবন শুকিয়ে যায় বৈশাখে,
হাঁটুজল থাকে কোন কোন শাখে।
তুমি কেবল মিশে যাও সাগরে,
অন্য কোথাও কেন যাও না হারিয়ে।


দ্রবন্তী তুমি ভয়ংকর সুন্দর,
বাংলার বুকে বয়ে চলেছো নিরন্তর।
তোমাতে রয়েছে কত রহস্য,
তোমার বুকেই ফলছে কত শস্য !


তোমার তটে দাঁড়িয়ে কেউ হয় উদাস,
আবার কেউ ফেলে শুধু দীর্ঘশ্বাস!
কারো সবকিছু নিয়েছ কেড়ে,
কাউকে দিয়েছ দুহাত ভরে।
কেনো তোমার রূপে বিচিত্র রং,
কেনো দেখাও এতো ঢং !


তোমাতে মিশে আছে জীবনের কত কিছু,
কারো সুখ, কারো দুঃখ কারোবা আরো কিছু।
বর্ষায় দেখাও তুমি সর্বগ্রাসী রূপ,
আবার প্রবাহিত পলিতে জ্বালাও প্রেম ধূপ।


তোমার জলে ইলিশ হয় পালিত,
তোমার তীরেই মসলিন হয়েছিল লালিত।
সবুজ ডাঙায় গড়েছো কত সুন্দর কাশবন!
সাদা সাদা ফুলের সমারোহে ভরিয়েছ ভূবন।