বিকেলের সূর্য লাল হয়ে ছিল রক্তের মতো
প্রতাপ আর দপদপানি মিশে গেছে তমশার ছায়ায়
তারপর নেমে আসে গাঢ় অন্ধকার!


আজ মধ্যরাতে বাজে না চার্চের চুড়ায় ঘড়ি-ঘন্টার ধ্বনি,
হাঁক দিয়ে যায় না পাহরাওয়ালা,
সবাই ঘুমিয়ে পড়ে গুহার গহ্বরে
প্রেয়সীর বুকে মাথা রেখে।


কবে রক্ত ফুটে টগবগ করেছিল খুদীরামের বুকে,
আজাদ, ভগৎ সিং গর্জে উঠেছিল রাগে?
এখন তারা সবাই ইতিহাস।
স্কুলের পাঠ্য থেকে মুছে গেছে পরাধীনতার যন্ত্রনা।
ছাত্র ছাত্রীদের বলানো হয়
মুখস্হ করা কয়েকটা মহাপুরুষদের  নাম
আর কয়েকটা মুখস্হ করা  সাল তারিখ,
যাদুকরের তোতা পাখির মতো।
ভারত সূচক তিন রঙের কাপড় উড়ে আকাশের মাঠে,
চক্র আজ প্রবাহের অস্তিত্ব হারায়।
ছোটোরা চোখ মেলে তাকাই পতাকার দিকে
হাতে মিঠাই নিয়ে ধন্যবাদ জানায়।
পাড়ার বুড়ি বলে-"হাতে নিয়ে দৌড়েছি পলাশর মাঠে"।
কিন্তু সেও মিঠাই চাইতে আসে !
পাশের ক্লাব প্রাঙ্গণে পতাকা উত্তোলনের সময়।