আমার মেয়ে সংস্কৃতি'র
বয়স বছর তিন,
গাছের পাকা রসাল ফল
চাই যে নিত্যদিন।
মেঙ্গো তারে বলে সে
আবার বলে আম,
আমার মনে প্রশ্ন এলো
আমের কত নাম!
ল্যাংড়া আম, ফজলি আম,
গোপালভোগ আর,
সূবর্ণরেখা, কালি ভোগ,
কেন্ট, হিমসাগর,
খিরসা,অরুণা,আম্রপালি,
মল্লিকা, নীলাম্বরী,
কাঁচামিঠা, আলফানসো,
লখনা,তোতাপুরী,
বারোমাসি,কেউইসাউই,
গুঠলি,ছাতাপরা,
গোপালখাস, পাহুতান,
ত্রিফলা,আদাইরা,
সূর্যপুরী আর কারাবাউ
কলাবতি,আশ্বিনা,
রংপুরের হাঁড়িভাঙ্গা,
বাতাসা, মিশ্রিদানা।
এই তো গেল নামের কথা
কাজের কথা জানুন,
এবার জানাই ফলের রাজা
আমের কত গুন।
আমের মুকুল চুর্ণ খাও
আমাশয় রোগ হলে,
তৎক্ষনাৎ উপশম হবে
সেই চুর্ণ খেলে।
কাঁচা আমের চুর্ণ করে
বানা হয় আমচুর,
লবণ জলে গুলে খেলে
ভাগবে গর্মী দূর।
জৈষ্ঠ্যমাসের লু থেকে
বাঁচতে যদি চাও,
কাঁচা আম পুড়িয়ে তারে
সরবত করে খাও।
কাঁচা আমের আচার হয়
আর দেওয়া হয় ডালে
চাটনি হবে মনের মতো
লেহন করে খেলে।
পাকা আমের জুস হবে
জ্যাম, জ্যালিও হয়,
অনেক দিন রেখে দিলেও
হয়না অপচয়।
বাঙালী যেমন রসোগোল্লায়
ইলিশে যায় চেনা,
তেমনি ভাবে রসাল ফলে
বাঙালী যায় জানা।
বর্ষায় ইলিশ,শরৎ এ দূর্গা
হেমন্তে নবান্নে মাতে,
শীতে পিঠা,বসন্তে হোলী
গ্রীষ্মে আম চাই পাতে।
আমসত্ত্ব দুধে ফেলে
রবী ঠাকুর খেলেন,
রসাল ফলে মুগ্ধ হয়ে
কাব্যে লিখে গেলেন।
আম ভারতের জাতীয় ফল
গাছ বাংলাদেশে,
রসাল ফলের ইতি বর্ণন
কাব্য ভালবেসে।