সরকারী চাকরীর বয়স সীমা অতিক্রান্ত।
তাচ্ছিল্য উচ্চ শিক্ষার শংসা  পত্র অগ্নি স্বাহা।
জীবন সংগ্রামে প্রাণপণ লড়ায়ে
বিজয় কেতন হইতো উর্দ্ধগামী নয়,
তবে পূর্বাকাশে সূর্য উঠার মতোই দু মুঠো আহারের নিশ্চয়তা হয়েছে,
আজ আমি এক রিক্সা চালক।


স্মৃতির মনিকোঠায় ভেষে ওঠে,
সেই অতীতের দিন গুলি
পরীক্ষার দিন গুলোতে
মা চন্দনের টিপের সঙ্গে দিতো
উজ্জ্বল ভবিষ্যতের আশীর্বাদ।


পাঠান্ত হতে আজ অবধী
ভিখারির মতো প্রতিহত হয়েছি,
প্রতিটা অফিস,
প্রতিটা নেতা,
প্রতিটা মন্ত্রী,
প্রতিটা চাকরীর পরীক্ষায়,
দান দাক্ষিনাত্যের হস্ত শূন্যতার উপলব্ধি নিয়ে।


গৃহশিক্ষকতায় সম্মানের পাতায়
আহারের অভাব।
বেসরকারি দপ্তরে উর্ধতনের তাচ্ছিল্য ও যাতনার বেতন।
আমি অসহায় গুল্ম লতার মতো নয়
স্বাভিমানের মহিরুহের মতো বেড়ে উঠতে চাই।
পেটের মতোই স্ত্রী-সন্তানদের তাগাদায়
মান সম্মানের প্রতিমা বিসর্জন দিয়ে
আমি মাথায় ও পিঠে বস্তা বহন করি,
কারণ আমি এক রিক্সা চালক।