গরীব বাঁচে দারিদ্র কে সম্বল করে,
ঝুড়ি বোনে কালিন্দী ঘরের বউ
পাশে দেড় বছরের শিশু
চিৎ হয়ে মাটিতে শুয়ে কাঁদে
পেটে হাত রেখে।


বিকেলের সূর্য শিশুটির  চোখের মতো লাল হয়ে নামে,
অসম্পুর্ণ ঝুড়ি ফেলে
উনানে কাঁচা কাঠ ঠেলে
ধুঁয়ার সাথে রান্না করে খুদ কুঁড়া।
আর দারিদ্রকে পরিবেশন করে
চাঁদের মতো থালায়।
শিশুর ঢুলুঢুলু চোখে কোজাগরী পূর্ণিমার আলো পড়ে
চালের ফাঁক ফোকর অতিক্রম করে।


চাঁদ যখন মধ্য গগনে
ফিরে আসে মরদ
যৌতুকের শেষ দানের পরিবর্তে
শুকর মাংসের সাথে দু বোতল মদ গিলে,
কিছু অকথ্য ভাষার বর্ষায় ভিজে।
তার পর বাণ নামে তীর ভাঙা গাঁঙুড়ের মতো নির্যাতনের
শারীরীক ও মানসিক ।


উন্মুক্ত পিঠ ও শূণ্য পেটে
বউ কাঁদে মাটিতে পড়ে,
দুর্দশা, যাতনা আর দারিদ্রের জ্বালায়
চাঁদ হাসে তারার মাঝে।
অনেক ক্ষণ বউএর চোখের তারা জ্বল জ্বল করে...
এক সময় বন্ধ হয়ে আসে...
রাত্রি প্রগাড় হতে হতে।


হেমন্ত'র  ঢেউ লাগে খালি শিশুর গায়ে,
মা শিশুকে জড়িয়ে ধরে
শত ছিন্ন আঁচলে উষ্ণতা জোগায়,
রাত গুনে ভোরের সূর্যের প্রতিক্ষায়।


কাক ভোরে কাক এসে খুদ কুঁড়া খায়
আর শিশু তাড়ায়,
এক সময় নিজেও খায়।
কালিন্দী বউ তখনও কাঁদে..
মরদ অনুশোচনায় ভুগে
সোহাগে তাকাই বউ এর দিকে
আর প্রেম নিবেদন করে,
শিশুকে কোলে টানে।


উক্ত ঘটনার পুণ:রাবৃত্তি হবে আবার রাত্রে
আজকের পাল্লায় থালা, ঘটি, বাটি
কিছু একটা তো বন্ধকে যাবে
তার পর আর একদিন হয়তো.....
বউও


কালিন্দী বউ তা জানে!