আমার এই কবিতাটি আসরের সবার প্রিয় কবি শ্রদ্ধেয় লক্ষণ ভান্ডারী মহাশয়ের চরনে উৎসর্গ করলাম।



"অজয় নদে এল বান
ভেষে গেল সোনার ধান।"
      পড়েছিলাম ছোট বেলার কালে।
"অজয় নদ হৃদয়ের টান
দিবা রাতি  গায়ছে গান।"
      লিখলেন মোমিন ম: সানারুলে।।
অজয় নদে গাঁয়ের পাশে
তরী বেয়ে কত যাত্রী আসে,
      সেই তীরে বসত লক্ষণ ভান্ডারী।
যাত্রী হীন নাওয়ে পাল তুলে
ভাটিয়ালী গান গেয়ে চলে
      দিশা হীন আজ নৌ এর কান্ডারী।।
কলসী কাঁখে জলকে আশে
গাঁয়ের বধুরা মিলেমিশে
         স্নান সেরে ফিরে সিক্ত বসনে।
খোকা খুকুরা স্নানের ছলে
সাঁতার কাটে অগাধ জলে,
        একটু দূরে বক রয়েছে ধ্যানে।।
আরো কত যে পাখ পাখালী,
চিকচিক করে সরু বালি
           তারই পরে গুগলি-পুঁটি খায়।
রাখাল ছেলে নদের তীরে
গরু মহিষ চরায় ঘুরে
        বিকেল হলেই বাড়ি ফিরে যায়।।
তপন নামে নদের পাটে
হাঁস গুলি সব স্নান ঘাটে
         বাসায় ফিরতে করে কোলাহল।
নদের পারে জ্বলছে চিতা
করুণ ধারা আত্মিয় মিতা
           তাদের জীবনে বহে হলাহল।।
অজয়ের জলে শষ্য ফলে
চাষীরা মনের দু:খ ভুলে
         চাষ-আবাদ করে মহা আনন্দে।
দুই কুলের আনন্দ ব্যথা
বয়ছে নিয়ে সকল কথা,
         অজয় গাঁথা লিখেছে মূলচাঁদে।।
আমিও যে অতি ভাগ্যবান,
অজয় নদে করেছি স্নান,
           জয়দেব-কেন্দুলির মেলাতে।
মেলা প্রান্তরে বাউল গান
রয়ে গেছে স্মৃতির টান,
       শুনেছি কীর্তন সাঁঝের বেলাতে।।
ফিরেছি নিয়ে গীত গোবিন্দ
হরষ মন বড়ই আনন্দ
             পবিত্র গ্রন্হ অতি মনোরম।
"স্মর গরল খন্ডনম
মম শিরসি মন্ডনম
              দেহি পদ পল্লব মুদারম"।।


রচনা
২৪/০১/২০১৮
নিজ গৃহ কুটির