দিল্লিতে মারা গেল তিন শিশু অনাহারে,
তাই নিয়ে শোরগোল তোলপাড় দেশ জুড়ে।
কেহ বলে রোগে মরে, কেহ বলে বাপ মারে,
সে তো বড় বিস্ময়! বাপ কি মারতে পারে?
অনাহারে মরে কেহ? নেই কোন তালিকা,
ছেলে বুড়ো, মাতা পিতা কিম্বা কোন বালিকা?
ভারত তো উন্নত ডিজিটেল দেশ বলে,
বুলেটের গতি পথ দুরন্ত ট্রেন চলে।
দেশ নিয়ে যারা বড় মুখে আওড়ায় বুলি,
ভুখে মরা দেখ তবে পুরুলিয়া এসো বলি।
ভিক্ষায় দিনপাত যদি পায় তবে রান্ধে,
না পেয়েই অবসান বিমলা পাণ্ডে।
ছেলে খানা ভিন গাঁয়ে কাপ ধোয়া কাজ তার,
হতে পারে ব্রাক্ষ্মন নেই তবু লাজ তার।
উদর যে বড় কথা একথা সে জানতো,
মেঙ্গে চেয়ে পেট চলা! মানবিকতা হানতো।


দিদি দাদা সবে বলে দেশ আজই হাসছে,
পুরুলিয়া কেন তবে কান্নায় ভাসছে?
বলে পেনশন পায় বুড়ি বুড়ো সকলেই,
বলে আবাসন খাতে গৃহ হয় চাইলেই,
দুই টাকা কেজি দরে রেশনেতে চাল পাই।
তবে কেন বিমলার পেটে আজ ভাত নাই?
কেন তারা চিরকাল ঝুপড়িতে পড়ে রয়?
রোদে, বানে, ঝড়ে আজো কেন তারা অসহায়?
ভিক্ষার ঝুলি কাঁধে কেন তারা চেয়ে খায়?
কেন বেঘোরেতে আজো প্রশাসন জাগে নাই?


পক্ষে বিপক্ষে এবার টানাপোড়েন চলবে,
আমি আজ পাশে আছি একথাটিই বলবে।
যে গেলো সে গেলো তো, তাকে দেখে লাভ কী ?
অশ্রুর নয়নেতে কুমিরের ভাব কী !
যদি দুঃখ লেগে থাকে বিমলাদের মরাতে?
নিযুত লক্ষ্য বিমলা আছে এই ধরাতে,
তাদের পাশেতে গিয়ে মুখে দাও অন্ন,
গরীবের আশীষেতে দেশ হবে ধন্য।



আজ ১৯/৮/১৮ আনন্দ বাজার পত্রিকায় প্রকাশিত ঘটনা।পুরুলিয়ার গ্রামে অনাহারে মৃত্যু।