ছবি নং১
গ্রীষ্মের নিঝুম দুপুর
পাশের তাল গাছে বাবুই বাসা বুনে
আঙিনায় বসে উৎকন্ঠার দৃষ্টে
নব বিবাহিত এক বধু।


ছবি নং২
বাসের উপর এক গাদা লোক
ধুলার পরে ছোটো শিশুর
দু:শ্চিন্তার কান্না।


ছবি নং৩
ঝুলন্ত সেতুর উপর
নগ্ন পায়ে দাঁড়িয়ে এক কিশোর
তার এক পাশে ফুলের সজ্জার নিচে অস্ত্রের ভান্ডার
অন্য পাশে কাঁচের টুকরার উপর কয়েকটি বই।


ছবি নং৪
অগাধ সমুদ্রে ভাসমান এক রূপসী নারী
তার উপর বৈঠা হাতে
এক পুরুষ।


ছবি নং৫
এক সসস্ত্র সৈনিকের মাথায়
স্ত্রী, পুত্র, কন্যা বোঝাই এক বিশাল ঝুড়ি।


ছবি নং৬
দমকা হাওয়ায় মোমবাতির দপ্‌দপ্‌
এক রূগ্ন মহিলার দুই কর বেষ্টনে
জ্বালিয়ে যাওয়ার ক্ষীণ প্রচেষ্টা।



প্রিয় কবি লক্ষ্মণ ভান্ডারী মহাশয়ের কাল প্রকাশিত
" অজয়ের নদীচরে" কবিতার উত্তরে কমেন্ট বক্সে লেখা আমার কবিতা।
অজয় গাঁথা
========
মূলচাঁদ মাহাত
অজয় নদীর জলের ধারা বইছে অবিরত।
নদীর জলে দুকূল বেয়ে কৃষক চাষে রত।।
প্রভাত কালে নদীর জলে অরুণ আলো পড়ে।
হিরে, মুক্তা, মাণিক যেন ঝিকিমিকি করে।।
নদীর জলে কোলাহলে মত্ত মরাল মরালী।
বালুচরে ঘুরে ফিরে কত না পাখ-পাখালী।।
তীরের যত গ্রাম্য বধু কাঁখে কলসী করে।
স্নান সেরে জল ভরে আলয়ে যায় ফিরে।।
মৎস সম ছেলে মেয়েরা জল কেলি করে।
ছিপ ফেলে কিছু ছেলেরা বড় মাছ ধরে।।
বৈঠা হাতে নাও বেয়ে মাঝি আসে ঘাটে।
পারাপারে যাবার তরে যাত্রী নামে উঠে।।
ঐ যে দূরে ডিঙি বেয়ে আসে কিছু জেলে।
সকাল বিকাল ধরে মাছ তারা জল ফেলে।।
রাখাল ছেলে বাজাই বেণু অজয়ের তীরে।
সাঁঝের বেলা ধেনু লয়ে নিজ গৃহে যায় ফিরে।।
তপন নামে নদীর কূলে রক্তিম আভা ফেলে।
অন্ধকার ঘনিয়ে এলে জোনাকিরা জ্বলে।।
প্রশান্তি নামে দুই নদী কূল আকাশে চাঁদ তারা।
অবিরাম বয়ে চলে তবু অজয়ের ধারা।।
মুকুন্দ, লক্ষণ, জয়দেব, আর নজরুলে।
পবিত্র করেছে মন প্রাণ অজয়ের জলে।।
বঞ্চিত মন তাই আজো দিবা নিশি কাঁদে।
অজয় গাঁথা লেখে কবি মাহাত মূলচাঁদে।।