মধুমিতা-রোহিতের প্রেম
পুরাতন সংস্কৃতি গুলোর মতো টিকে আছে;
যক্ষা রোগীর কাশি যেন
খ্যাশ্‌ খ্যাশ্‌ করেও অতিবহিত।


শুনেছি প্রেম বিবাহই আবদ্ধ তারা;
আজ অজান্তে ভাঙা গ্রীলের ফাঁক ফোঁকরে
প্রেম নিরুদ্দেশ।
বেকারত্বের থলিতে ছয়টা জীবন,
শিক্ষা আজ মূল্যহীন
ইদানিং কর্ম সংস্থানে ভাটা


সন্তানদের প্রতি দৃষ্টি গেলে
জেগে উঠে মধুমিতার
বুকের ভিতর গাঢ় অন্ধকার।


কিন্তু একসময় রঙিন ছিল
তাদের দিনরাত।
পঞ্জিকা হস্তে পিতার বাক্য--
"অসবর্ণে বিবাহ অশুভ.........।"
তবু বেপরোয়া রোহিত সেদিন,
পিতা-মাতা,দাদা-দিদি, সমাজের প্রতি
দায়িত্বহীন ধুলিকণা ঝেড়ে দিয়েছিল।
গ্রাহ্যহীন সেদিন মধুমিতাও
পিতার প্রশ্নচিহ্ন নতমস্তকে অদৃষ্টি
সমাজের প্রতি অবমাননা।


পার্কের বেন্চিতে হাতে হাত রেখে
ভেষে যেতো প্রেম প্রণয়ের বাক্যে
"মধুমিতা আমি তোমাকে ছেড়ে
বাঁচতেও পারি না, মরতেও পারি না।"
মধুমিতাও বলেছিল----
"সত্যি করে বলো
তুমি কোনদিন আমাকে ভুল বুঝবে না,
আমাকে ছেড়ে কোথাও যাবে না।"
রোহিত হাত রাখে মধুমিতার মাথায়
দিব্যি করে ভীষ্মপণ।


কাল রোহিতের সঙ্গে আমার দেখা--
"বৃথা এ জীবন রে
প্রতিনিয়ত জাগে মরণের সাধ।"


জীবনের কঠিনতম শব্দ আজ অনায়াস লব্ধ।
সেদিন হয়তো বা রোহিত
দিব্যি নিয়েছিল মধুমিতার।