শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত রেলের কামরায়
কম্বল মুড়ি দিয়ে বেঘোর নিদ্রাযাপন,
কেঁপে কেঁপে উঠে বন্ধুর মোবাইলের রিং টোন।
ঘড়ির কাঁটায় রাত্রি দুটা,
ভেসে আসে আর্ত কন্ঠে
দুর্ঘটনা কবলিত পিতার
মেঘহীন বজ্রপাত দুঃসংবাদ।
নিমেষে দশ বন্ধুর হৃদয় বিদীর্ণ হতে থাকে
এক অজানা বিপদ সংকেতে।
আই সি ইউ এ ভর্তির খবর পর্যন্ত
প্রায় হাজার মাইল পথ অতিক্রান্ত।


মুহুর্তে পাল্টে যায় আনন্দ বিষাদে,
বায়ু কোনের গমন অগ্নি কোনের পশ্চাদগমনে,
শীত তাপ নিয়ন্ত্রিত কামরা দ্বিতীয় শ্রেণীতে।
এক নীরবতা কাজ করে সবার অন্তর জুড়ে।
ধীরে ধীরে প্রভাতের রশ্মিতে
একে অপরের মুখ গুলি ফেকাশে মনে হয়।
আজ নেই আকাশের উজ্জ্বলতা,
দুই পাশে ছুটে চলেছে মরা ঘাসের প্রান্তর,
পত্র বিহীন জীর্ণ গাছের সারি,
আকাশের প্রতি উদাস চেয়ে থাকা জলাশয়,
শ্লথ গতির শীর্ণ নদী।


প্রায় এগারো ঘন্টার বিষাদময় সফর শেষে
মানবতার খাতিরে, বন্ধুর সৌহার্দ্যে,
ভ্রমনের আনন্দ,অর্থের অপচয়কে জলাঞ্জলি দিয়ে
আবার নিজ গৃহের সম্মুখে এলে
বন্ধুর বাড়ি থেকে ভেসে এলো বেদনার কান্না......!