শুন শুন শুন বলি শুন দিয়া মন,
রামায়ণ কথা কিছু করিব বর্ণন।
ত্রেতায় প্রভু রাম  দশরথ নন্দন,
পিতৃসত্য পালনার্থে বনেতে গমন।
সঙ্গে জায়া সিতা সহ লক্ষণ চলিল,
সঙ্গী সাথী বনে কিছু বানর জুটিল।
নিভৃত সময় বুঝে মারিচ আসিল,
মায়ামৃগ রূপ ধরি সিতারে মোহিল।
রাম লক্ষণ চলিল তার পিছু পিছু,
যোগী বেশে রাবণ আসে স্বভাব নীচু।
সিতারে হরন করে নিয়ে  চলে যায়,
রাম লক্ষণ ফিরিয়া করে হায় হায়।
হনু সৈন্য লইয়া রাম লঙ্কা ঘেরিল,
ভীষণ সমরে রাম রাবনে মারিল।
বিভীষণে রাজা করে রাম ফিরে যায়,
বানর সকল তর পিছু পিছু ধায়।
বলে রাম কোথা যাও মোর পিছু পিছু,
শুনিয়া সকল হনু করে মাথা নিচু।
একজন হনু বলে প্রভু কর জোড়ে,
আমরাও সহভাগী সিতা উদ্ধারে।
বিভীষণ রাজা হল রাজা সুগ্রীব,
আমরা বঞ্চিত কেন? বলে বন্য জীব।
রাম কহে শুন বাছা শুন মন দিয়া,
তোমরাও রাজা হবে কলিযুগে গিয়া।
আজ তোরা যে যেই রূপ কর্ম করিলে,
কলিযুগে সেই রূপে কর্ম ফল মিলে।
পাঁচ দশ পনেরো আরও ততোধিক,
নেতা মন্ত্রীর নাম ছড়াবে দিক্ ‌দিক্‌।
কেহ হবি মেম-বার কেহ পর-ধান,
সভা-পতি হলে তবে জেলা জুড়ে নাম।
বিধায়ক হবি কেহ, কেহ হবি মন্ত্রী,
আগে পিছে ঘুরপাক খাবে কত সান্ত্রী।
কারো কারো হাতে থাকবে রাজ্যের ভার,
কেহ কেহ হবি দেশের পালন হার।
সবে মিলে একবার রাম রাম বল,
হনু চরিত্র কথকথা সমাপ্ত হল।


বি.দ্র.- কারো ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করার  কোন রূপ মানসিকতা আমার নেই।বর্তমান ভন্ড নেতাদের চরিত্র বর্ণনে হাস্যরস সৃষ্টি করা আমার উদ্দেশ্য।মতামত গ্রহনীয়।