রবীন্দ্র সেতু পূর্ণ করল
                   বয়স পঁচাত্তর,
সমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে
              দু পায়ে করে ভর।
অনেকে রবীন্দ্র সেতু না বুঝলেও
               হাওড়া ব্রিজ বুঝে,
পঁচাত্তরের বয়সে আবার
            সেজেছে নব সাজে।
উনিশ শত সাইত্রিস সালে
            শুরু হয়েছিল নির্মাণ,
উনিশ শত ছেচল্লিশ সালে
          চললো মানুষ ও যান।
উনিশ শত পৌশট্টি সালে
                   নতুন নাম হয়,
রবীন্দ্র নাথ ঠাকুর যবে
          নোবেল করলেন জয়।
পনেরো শো ফুট দৈর্ঘ্য এর
               নব্বই ফুট চওড়া,
আছে পূর্বে তিলোত্তমা
              পশ্চিমেতে হাওড়া।
কোলকাতা-হাওড়া সংযোগে
               এটিই একটি পথ,
প্রতি নিয়ত করে পারাপার
              কতনা যান্ত্রিক রথ।
প্রায় পাঁচ লক্ষ মানুষ হেঁটে
             প্রতিদিন যায় পারে,
এক লক্ষ পনেরো হাজার
           গাড়ী যাতায়াত করে।*
পৃথিবীর দশ শ্রেষ্ঠ সেতুর
               এই সেতু ষষ্ঠ তম,
দুই পায়েতে ঝুলে রয়েছে
            আজো পেন্ডুলাম সম।
ইতিহাস আজো বর্তমান হয়ে
              দু পায়ে রয়েছে ঠায়,
কত জন আসে আনন্দ সুখে
              কত আসে বেদনায়।
সবারে পারাপার করে আজো
                 অক্লান্ত দিবা রাত্রি,
কতনা গাড়ীর ঘর্ঘর ধ্বনি
              কোলাহল কত যাত্রী।
কত ইতিহাস লিখে চলে আজো
               কত মানুষের ভীড়ে,
একক সাক্ষী হাওড়া ব্রিজ
                  হুগলি নদীর তীরে।


তথ্য সূত্র--০৪/০৫/১৮ বর্তমান পত্রিকা/ উইকিপিডিয়া
*সমীক্ষা ২০০৭ রাজ্য সরকার পরিবহণ দপ্তর।