হার যেখানে হার মানে সে নাম নাদিয়া মুরাদ,
আইসিসদের আক্রমণে জীবনটা বরবাদ।
বয়স যখন উনিশ তো তার শান্তি সুখের বাস,
কৃষক পরিবারে জন্ম তাদের জীবিকা চাষবাস।
ইরাকের এক গ্রাম সে কোচো উপত্যকা ভূমি।
কেউ কি ভাবে সে ভূস্বর্গেও আতঙ্ক আসবে নামি।
ইয়াজিদি বলে আক্রান্ত হলো আই এসদের হাতে,
গ্রামখানিকে বন্দি করলো ভয়ংকর এক রাতে।
অবলীলায় হত্যা করলো পুরুষ, বৃদ্ধা নারী,
সাতশত পুরুষ হত্যা করলো সহিংস অত্যাচারী।
মাতা, পিতা, দাদা সহ অষ্টাদশ নিজ জন,
সব হারালো রইলো না তার একজনও আপন।
বন্দি হলো বালিকা যুবতি দায়েশদের হাতে,
বিক্রি, যৌনদাসী, ধর্ষণ করা হতো তাদের সাথে।
বাদ যেত না আট বছরের শিশু কন্যাও যত,
নাদিয়া মুরাদও গণধর্ষণে হল ক্ষতবিক্ষত।
অবশেষে ফাঁকি দিয়ে সে পালিয়ে মুক্ত হলো,
জার্মানীতে পৌচ্ছে নাদিয়া আবার রুখে দাঁড়ালো।
নাদিয়া বলে-"নারীর শরীর কেন হবে যুদ্ধে ক্ষত?"
সেই প্রশ্নে আজ পৃথিবীর তোলপাড় যত্রতত্র।
"দ্য লাস্ট গার্ল" এ লেখে নাদিয়া নিজ আত্মকথা,
আই এস দ্বারা নির্যাতিত সকল নারীর ব্যাথা।
এক সে মেয়ে লড়াই করে সন্ত্রাসবাদী বিপক্ষে,
নির্জাতিতা, ধর্ষিতাদের সম্মান দেওয়ার লক্ষ্যে।
সেই মেয়েই তো বলতে পারে-"ঘুরে দাঁড়াও, মেয়ে।
বলো, নীবর থেকো না।" ভীতু  অসহায় হয়ে।
সেই প্রতিবাদ আছড়ে পড়ে দেশ দেশান্তরে,
সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আন্দোলন মানবাধিকারে।
হোক মুখরিতা বিশ্বজুড়ে নারীদের সম্মানে,
নোবেলও আজ সম্মানিত নাদিয়াকে সম্মান দানে।