জোড়া সাঁকোর ঠাকুর বাড়ি
ওঠল বেজে শাঁখ,
বার শত আটষট্টি সন
পঁচিশে বৈশাখ।
পূব আকাশে ঝলমলিয়ে
উঠল সোনার রবী,
সারদার কোলে প্রভা ছড়াল
ছোট্টো একটা কবি।
পড়াশুনাই রুচি নেইকো
ঘুরতে বেশ পাকা,
মা-বাবা তাই জব্দ করতে
চাকর জিম্মায় রাখা।
মহাভারতের যুদ্ধ কথা
রামায়ণ গল্প শুনে,
গন্ডির মধ্যে আবদ্ধ থাকে
লক্ষণ রেখা মেনে।
জানালার কাছে উদাস হয়ে
প্রকৃতির খেলা দেখে,
কাবুলিওয়ালা পসরা নিয়ে
হাঁক দিয়ে যায় ডেকে।
সোনার তরী বেয়ে নদী
পাল তুলে যায় দেখে,
বলাকা ও শ্যামলীদের
কাব্য কথা লেখে।
চোখের বালি, চতুরঙ্গ
শেষের কবিতা, গোরা,
গল্প, কাহিনী, নাটক, প্রবন্ধ
গান কবিতা ছড়া।
কাব্য ভূবন ভরিয়ে দিলে
সাহিত্যে নোবেল জয়,
বিশ্বে বরেণ্য বিশ্ব কবি
অতুলনীয় রয়।
আজি এ পূণ্য তিথিতে
শ্রদ্ধা নমন করি,
যুগে যুগে আমি বাঙালী হয়ে
তোমারই চরণ ধরি।