কি হয়েছে আজকে তোমারা
               নাচছো হৈ হুল্লোড় করে?
কি বল্লে? আরবার বলো?
                 "বসন্ত এসেছে দ্বারে"!
কি করে বুঝলে? কি বসন্ত?
                     কেমন তার স্বরূপ?
আমায় একটু বুঝিয়ে বলো না
                   বর্ণনা দাও তার রূপ!


পলাশ,শিমুল,কৃষ্ণচুড়া
                  হয়েছে আজিকে লাল,
আম্র মুকুলে গুঞ্জন ধ্বনি
                  মৌমাছি আজ মাতাল।
কোকিল আজি গান গেয়ে যায়
                      নব কিশলয় ডালে,
পাপিয়া,শালিক শিষ দিয়ে যায়
                ফিঙ্গে নাচে তার তালে।
দখিনা বয় মুহু মুহু
                     সুবাস বাতাসে বয়,
অঝোর ধারায় কবি, শিল্পী
                         উন্মত্ত হয়ে রয়।


চুপ, চুপ, চুপ কর এবার
              প্রয়োজন নেই কাব্যিকতা,
পেটে যখন টান পড়বে
                অমনি ঘুরে যাবে মাথা।
আবর্জনার আস্তাকুঁড়ে
                    খাবার খুঁজি আমরা,
দু বেলা পেটের অন্ন জোগাড়ে
                    আমরা বসন্ত হারা।
কৃষ্ণচুড়া লাল দেখেছো
(দেখো নি) আমরা তার নিচে শুয়ে থাকি,
পায়ের উপর পা রেখে
                  ক্লান্ত ওষ্ঠে বিড়ি ফুঁকি।
আর কি বল্লে দখিনা বয়
             ফিঙ্গে নাচে,সৌরভ ছড়ায়!
নর্দমার গন্ধে গুগলি এনে
                    আমরা পুড়িয়ে খায়।
পাপিয়া,শালিকের শিষ
               মৌ গুঞ্জন, কোকিল গান,
ফুটপাতেতে ঐ গাড়ির হর্ণে
                  মোদের ওষ্ঠাগত প্রাণ।
তোদের ফাগুন, তোদের কাব্য
                তোদেরই আজ আনন্দ,
পলিথিনে উচ্ছিষ্ট খাবার পেলে
                 তাতেই মোদের বসন্ত।